বরিশাল বিভাগ

বরিশালে মুক্তিযোদ্ধার দোকান দখল

Share this:

বরিশাল ব্যুরো ॥ নগরীর সদররোডস্থ জেলখানা মোড় সংলগ্ন বিষ্ণুপ্রিয়া ফার্মেসীর (রেনুকা ফার্মা) মালিক হরিমোহন কর্মকারের বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধার মালিকানাধীন দোকান ঘর অবৈধ ভাবে দখলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উকিল নোটিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দ্বারস্থ এমনকি মামলা করেও অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করতে না পেরে অসহায় হয়ে পরেছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা।
কান্না জড়িক কন্ঠে দোকান মালিক মুক্তিযোদ্ধা শংকর চন্দ্র কর্মকার জানান, সদররোডস্থ জেলখানা মোড় সংলগ্ন তার (শংকর) মালিকানাধীন একটি দোকানঘর ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য ভাড়া নেয় বিষ্ণুপ্রিয়া ফার্মেসীর মালিক হরিমোহন কর্মকার। ২০১৩ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে চুক্তি করার তাগাদা দিলে ভাড়াটিয়া হরিমোহন কর্মকার চুক্তি না করে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানে ব্যর্থ হয়ে হরিমোহন কর্মকারকে দোকান ছাড়ার জন্য উকিল নোটিশ প্রদান করা হয়। এরই মধ্যে ২০১৫ সাল থেকে দোকান ভাড়া বন্ধ করে দেয় ভাড়াটিয়া হরিমোহন।
২০১৭ সালে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় অবৈধ দখলদারের হাত থেকে দোকান রক্ষায় একটি সাধারন ডায়রী করা হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় তৎকালীণ এক কাউন্সিলরের দ্বারস্থ হয় মুক্তিযোদ্ধা শংকর চন্দ্র। এনিয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে এক শালিস বৈঠকে দোকান মালিককে বকেয়া ভাড়াসহ দোকান ঘর বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারনে সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা শংকর কর্মকার বাদী হয়ে হরিমোহন কর্মকার কে আসামী করে বরিশাল কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে তাকে (শংকর চন্দ্র কর্মকার) ও তার ভাই তপন কর্মকারকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা করেন ফার্মেসী মালিক হরিমোহন। যা আদালতে খারিজ হয়ে যায়। নিজের দোকান ঘর অবৈধ দখলদারের হাত থেকে রক্ষায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রনাঙ্গণ কাঁপানো অসহায় মুক্তিযোদ্ধা শংকর চন্দ্র কর্মকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *