রাজনীতি

আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের মতামত নিচ্ছেন তারেক রহমান

Share this:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরেশোরে নির্বাচনি কর্মকাণ্ড শুরু করেছে বিএনপি। এরই অংশ হিসাবে আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের মতামত নিচ্ছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রথম দিনে বরিশাল বিভাগের চারটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মতামত নেওয়া হয়। এ বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে চারটি নির্বাচনি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মতামত নেন তারেক রহমান। এ সময় জাহিদ হোসেন সম্ভাব্য প্রার্থীদের জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, ৩০০ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মতামত শুনবেন তারেক রহমান। পর্যায়ক্রমে আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের গুলশান কার্যালয়ে ডাকা হবে।

সূত্র জানায়, বরিশাল ও কুমিল্লা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে। অন্যান্য বিভাগেও সিনিয়র নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, এদিন বরিশাল-২, বরিশাল-৫, ঝালকাঠি-২ ও পটুয়াখালী-২-এই চারটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের গুলশান কার্যালয়ে ডাকা হয়। এ সময় বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডা. জাহিদ সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে নিজ নিজ আসনের অবস্থা জানতে চান। সম্ভাব্য প্রার্থীরা একে একে নির্বাচনি এলাকার কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এ সময় সম্ভাব্য প্রার্থীদের তারেক রহমানের নির্দেশনার কথা জানিয়ে বলেন, আসনভিত্তিক সম্ভাব্য সব প্রার্থীকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, কয়েকটি জরিপ ও বিভিন্ন উইং থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৈরি করা তালিকা এখন তারেক রহমানের হাতে। সেই তালিকা অনুযায়ী আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের গুলশান কার্যালয়ে ডাকা হচ্ছে।

সোমবার গুলশান কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া একটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী যুগান্তরকে বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী ডা. জাহিদ তাদের কাছ থেকে এলাকাভিত্তিক সাংগঠনিক অবস্থা ও নির্বাচনি কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তারা বিস্তারিতভাবে তা অবহিত করেন। পৃথকভাবে চারটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মতামত নেওয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টা সময় ধরে এক একটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের কথা শোনেন ডা. জাহিদ। পরে তিনিও নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু দিকনির্দেশনা দেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়ে জোর দেন তিনি। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও কথা দিয়েছেন তারাও ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন। সামনে একক প্রার্থী যাকেই করা হোক না কেন, ঐক্যবদ্ধভাবেই তাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনি প্রচার চালাবেন। সবার লক্ষ্য থাকবে ধানের শীষের প্রার্থীকেই জয়ী করা।

ওই সম্ভাব্য প্রার্থী আরও জানান, কয়েকজন প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে এমন খবরের বিষয়টিও মতামত দিতে গিয়ে উঠে আসে। এ সময় ডা. জাহিদ সম্ভাব্য প্রার্থীদের জানান, এ বিষয়টি সঠিক নয়।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে বিএনপি। তফশিলের আগেই ৩০০টির মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করে ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এরই অংশ হিসাবে আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের মতামত নিচ্ছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। 

এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও জনসম্পৃক্ত নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোটারদের ‘ডোর টু ডোর’ যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফাসহ বিগত দিনে বিএনপি সরকারের আমলের ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং আগামী দিনের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে। এর মাধ্যমে সারা দেশে নির্বাচনি ঢেউ তুলতে চাইছে দলটি। এটি সফল করতে সারা দেশের নেতাকর্মীদের ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *