খাগড়াছড়িতে কিশোরী ধর্ষণ ও প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন
(জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি , জিএম লিমন )-খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে গণধর্ষণ ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা-হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আয়োজিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম ও অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা এবং ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনূস। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নারী প্রগতি সংঘের সেলিনা পারভিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণসাক্ষরতা অভিযান, বিএনপিএস, ব্লাস্ট, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ধর্ষণের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা এ দেশে নজিরবিহীন। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং ন্যায়বিচারের পথে ভয়াবহ বাধা। তিনি বলেন, পাহাড়ি আদিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার, আর এ ধরনের সহিংস আক্রমণ সাম্প্রদায়িক উসকানির অংশ।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, অপরাধীরা বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে, যা হতাশাজনক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, গণধর্ষণের মতো ভয়াবহ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা কোথায় ছিল। তিনি দ্রুত প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, এ ঘটনা শুধু একজন মারমা কিশোরীর ওপর নয়, সমগ্র নারীজাতি ও মানবতার ওপর আঘাত। প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালানো ও হত্যার ঘটনা প্রমাণ করে অপরাধীরা শুধু নারীর মর্যাদা ভেঙে দেয়নি, ন্যায়বিচারকামী মানুষের কণ্ঠও স্তব্ধ করতে চাইছে। তারা বলেন, এ ধরনের সহিংসতা সংবিধান ও আইনের শাসনের পরিপন্থি।
প্রায় ৫০ জন অংশগ্রহণকারী এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ও আন্দোলন উপ-পরিষদের সদস্য ড. বহ্নি শিখা দাস পুরকায়স্থ।

