অর্থনীতিআন্তর্জাতিকস্বাস্থ্য

পেপসি যেভাবে আসলো সারাবিশ্বে, যা নামের মানে!

Share this:

সফট ড্রিংকসের বাজারে সবচেয়ে আলোচিত দুটো নাম পেপসি ও কোকা–কোলা। বিশ্ববাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া এ দুটো ড্রিংকসের নাম নিয়ে রয়েছে অনেক ‘গুজব’। এসব ‘গুজবের’ মধ্যে নামের আসল মানে প্রায় হারাতে বসেছে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান এক প্রতিবেদনে আবারও মনে করিয়ে দিল পেপসি নামের মানে আসলে কী।

উনিশ শতকের শেষদিকে পেপসি যখন প্রথম বাজারে আসে, তখন বাজার কাঁপাচ্ছিল আরেক সফট ড্রিংকস কোকা–কোলা। তবে এ কারণে পেপসিকে থেমে থাকতে হয়নি। নিজেদের চেষ্টায় মানুষের কাছে প্রধান পানীয় হয়ে উঠেছে এটিও। 

অনেকেই বলে থাকেন, পেপসি ও কোকা–কোলার স্বাদের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে বাস্তবে এই তথ্য সঠিক নয়। বাজারে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি এদের নাম নিয়েও দীর্ঘদিন ধরেই চলছে কথার লড়াই। তবে নামের আসল অর্থ জানেন না অনেকেই। 

আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর বলছে, পেপসির নামটি মূলত এসেছে ‘ডিসপেপসিয়া’ শব্দ থেকে। এর মানে ‘বদহজম’। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অবস্থা থেকে এটি পরিত্রাণ দেয় বলেই এই নাম দেওয়া হয়েছে।    

প্রথমে আমেরিকার উত্তর ক্যারোলিনায় নিজের দোকানে এই কোলা বিক্রি করতেন ব্র্যাডহাম। পরে চাহিদার কথা ভেবে ছড়িয়ে দেন সবখানে। নাম পাল্টে রাখেন ‘পেপসি কোলা’। 

মূলত খাবার হজমে সহায়তার জন্য বাজারে প্রথম আনা হয় পেপসি। ১৮৯৩ সালে প্রথম এটি বাজারে আনেন ফার্মাসিস্ট ক্যালেব ব্র্যাডহাম। এ জন্য প্রথম দিকে এটি ‘ব্র্যাডস ড্রিংকস’ নামেই অধিক পরিচিত ছিল। প্রতিষ্ঠানটির মতে, এটি বানাতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় চিনি, পানি, ক্যারামেল, লেমন অয়েল, কোলা নাটস, নাটমেগ।

প্রথম দিকে পেপসির স্লোগান ছিল, ‘উত্তেজনাপূর্ণ, উদ্দীপক, হজমে সহায়ক’। প্রায় ১২৫ বছর পর সেটি পাল্টে এখন রাখা হয়েছে, ‘রাইস আপ, বেবি’।

ব্র্যাডহামের নাম পাল্টানোর আরেকটি কারণ অবশ্য বাজারে কোলা শব্দের ব্যাপক ব্যবহার। দোকানে গিয়ে সবাই কোলা চাইতেন। এ কারণে তিনি নাম রাখেন পেপসি–কোলা। তবে পেপসি নামের সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *