নিজের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেই আমি
ছোটবেলা থেকেই মিডিয়ায় কাজ করছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। পরিণত বয়সে এসে নাটক ও সিনেমায় দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করছেন। সম্প্রতি সিনেমার প্রযোজক হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন। করোনাকালে কীভাবে সময় কাটছে এবং কবে নাগাদ অভিনয়ে ফিরবেন, এসব বিষয় নিয়েই ডেইলি বাংলাদেশ টাইম এর কথা বলেছেন তিনি।লিখেছেন অরণ্য শোয়েব
ডেইলি বাংলাদেশ টাইম – করোনাকালে কীভাবে সময় কাটছে আপনার?
তিশা: যেহেতু শুটিংয়ের ব্যস্ততা নেই, তাই বাসাতেই থাকছি সারাক্ষণ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অবরুদ্ধ সময় অতিক্রম করছি। সংসারের দায়িত্ব পালন করতে করতেই দিনের সিংহভাগ সময় পার হয়ে যায়। বাসায় কাজের ব্যস্ততা না থাকলে টিভি দেখা কিংবা বই পড়ার চেষ্টা করি।
ডেইলি বাংলাদেশ টাইম এখন তো স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাটকের শুটিং শুরু হয়েছে। আপনি কবে শুটিং শুরু করবেন?
তিশা: আসলে এ ক্ষেত্রে নিজের সুরক্ষাকেই অগ্রাধিকার দেই আমি। লকডাউনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের শুটিংয়ে অংশ নেইনি। আমার কাছে মনে হচ্ছে কাজের পরিবেশ নিরাপদ নয়। প্রতিনিয়ত যে হারে আক্রান্তের খবর পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে পরিবেশ ভালো নয়। শুটিং স্পটে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব নয়। আর একাধিক লোক এক জায়গায় অবস্থান করলে এমনিতেই অনিরাপদ হয়ে যায়। আমি আরও কিছুদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারপর শুটিংয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নেব।
ডেইলি বাংলাদেশ টাইম গত ঈদে আপনার অভিনীত কিছু নাটক প্রচার হয়েছে টিভিতে। সেগুলোর কাজ কখন করেছিলেন?
তিশা:লকডাউনের অনেক আগে বেশকিছু কাজ করেছি। সেগুলোই টিভিতে প্রচার হয়েছে। তবে আগামী ঈদের জন্য নতুন কোনো নাটকের কাজ এখন পর্যন্ত করিনি। যেসব নির্মাতার নাটকে নিয়মিত কাজ করি, তারা অনেক আগেই কাজের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ নাটকের গল্পই ভালো। এখন কাজ করা না করার বিষয়টি নিয়েই ভাবছি বেশি।
ডেইলি বাংলাদেশ টাইম -করোনার কারণে সংকটাপন্ন মানুষদের আপনি সংকট শুরুর সময় থেকেই সহায়তা করছেন। সেই কার্যক্রম কি চলমান আছে?
তিশা: আসলে এ বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রচারণা চালানোর পক্ষে নই আমি। দান কিংবা সহায়তা গোপনে দেয়াই ভালো। আমিও সে পথ অনুসরণ করেই কাজটি করার চেষ্টা করছি। যতক্ষণ সামর্থ্য আছে ততক্ষণ অসহায়দের পাশে থাকব। আমরা কেউই এ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। যেহেতু এটি একটি বৈশ্বিক সংকট, তাই এটাকে সচেতনতার মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে। সবাই যেন এ সময়টায় ঘরে অবস্থান করেন সেটার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।
ডেইলি বাংলাদেশ টাইম : সিনেমায় অভিনয় এবং প্রযোজনা দুটো নিয়েই ব্যস্ত আপনি। দুটো কাজের বর্তমান অগ্রগতি কী?
তিশা: সিনেমায় অভিনয় করছি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। এ মাধ্যমে অভিনয়ের জন্য দর্শকের কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া পেয়েছি। দর্শকের অনুপ্রেরণাতেই কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। লকডাউনের আগে দীপংকর দীপনের পরিচালনায় ‘ঢাকা-২০৪০’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করছি। এছাড়া মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ নামে একটি নতুন সিনেমার প্রযোজকদের একজন আমি। এটি আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। ছবির কাজ প্রায় শেষ। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এটি মুক্তির প্রক্রিয়ায় আসবে।