জাতীয়

রায়পুরে ব্যবসা ভাগিয়ে নিতে যুবদল নেতাকে হুমকি

Share this:

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সোয়েব সিকদার (অরণ্য )-লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে যুবদল নেতা মো. হাসানুজ্জামান সবুজ পন্ডিতের প্রায় ৭০ লাখ টাকার জেনারেটর ব্যবসা ভাগিয়ে নিতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাকে রায়পুর পৌর তাঁতী লীগের সভাপতি নুরউদ্দিন ভাট শিপলুসহ তার স্বজনরা বিভিন্ন মাধ্যমে এ হুমকি দিচ্ছেন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় শুক্রবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। বিষয়টি তিনি থানা পুলিশ ও বিএনপি নেতাদের জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী সবুজ রায়পুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। তিনি পৌর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি। 

লিখিত অভিযোগে সবুজ জানান, ২০০৬ সালে তিনি ও শিপলু যৌথভাবে রায়পুর পাওয়ার সাপ্লাই নামক একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে জেনারেটর ব্যবসা শুরু করে। এরপর আর্থিক সংকট দেখা দিলে শিপলু তার অংশ বিক্রি করার উদ্যোগ নেয়। এতে শিবলুর অংশ ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় সবুজ কিনে নেয়। ১৫০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বিক্রিয় চুক্তি সম্পন্ন করে। পরে মালিকানা বুঝে প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। তার লাভজনক ব্যবসা দেখে শিপলু বিভিন্নভাবে তা দখলের চেষ্টা করেন। ২০১১ সালের শেষের দিকে শিপলু রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জামশেদ কবীর বাকী বিল্লাহর জলশা ঘরে সবুজকে ডেকে নেন। পরে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র প্রদর্শন করে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এরপর থেকে তার ব্যবসা জোরপূর্বক শিপলু দখল করে নেয়। একপর্যায়ে নাশকতার  একাধিক মামলার আসামি করে তাকে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে পাঠায়। এরপর হত্যাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকিতে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। 

হাসানুজ্জামান সবুজ পন্ডিত বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর শিপলুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে ব্যবসা বুঝে নিতে বলেন। এতে ব্যবসা বুঝে নেওয়ার পর পুনরায় তা দখলে নেওয়ার জন্য শিপলুসহ তার স্বজনরা হুমকি দিয়ে আসছে। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। গত ১৩ বছরে এ প্রতিষ্ঠান থেকে তারা প্রায় ২ কোটি টাকা লাভ করেছে। বিনিয়োগ ছিল আমার। লাভের অংশ তারা নিয়েছে। আমি ওই টাকা ফেরত চাওয়ায় এখন তারা আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। এর সঙ্গে শিপলুর বাবা হুমায়ুন ভাট ও ভগ্নিপতি এম এ হায়দার অপুও জড়িত রয়েছে। 

অভিযোগ অস্বীকার করে নুরউদ্দিন শিপলু ভাট বলেন, সবুজ এক সময় আমার ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল। হিসাব করে তার পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে এখন কোনো লেনদেন নেই।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, জেনারেটর ব্যবসা নিয়ে দুইপক্ষই থানায় পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করেছেন। তাদেরকে কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। যে সঠিক ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে পারবে তাকে আমরাসহ ব্যবসা বুঝিয়ে দেবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *