রাজধানী

খুন হওয়ার আগে আদালতে হাজিরা দেন শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন

Share this:

পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫০) নামে একজন নিহত হন। জানা গেছে, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন নিহত মামুন।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে মামুন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ একটি মামলায় হাজিরা দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। সকালে দ্রুত বিচার মামলা ৩৫/২০০৩ এ তিনি আদালতে হাজিরা দেন। এরপর ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ভিক্টিম মামুন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মামুন সকাল ১০টা ৫১ মিনিটের দিকে হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছিলেন। প্রধান ফটক পার হয়ে একটু সামনে রাস্তায় গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এরপর পরে আবারও হাসপাতালের ভেতরে যান তিনি।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ফুলহাতা টি-শার্ট পরিহিত মামুনকে সিনেমা স্টাইলে মাস্ক পরিহিত দুইজন বন্দুকধারী গুলি করতে করতে হাসপাতালে প্রধান ফটক থেকে একটু ভেতরে ঢুকে পড়েন। পরে তারা দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে মামুন কেন হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি।

গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির খালাতো ভাই হাফিজ বলেন, আমার ভাই মামুন একজন সাধারণ মানুষ। কি কারণে তাকে কে হত্যা করলো, আমি জামি না। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। কারা তাকে হত্যা করেছে, কী কারণে করেছে আমার জানা নেই।

তবে পুলিশ বলছে তারিক একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছিলেন কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের লোকজন। ওই গুলি লেগেছিল ভুবনের মাথায়। কয়েক মাস আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জামিনে মুক্ত হন।

শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাঈফ মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তারা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *