খুলনা বিভাগজাতীয়

আদালতের নির্দেশ উপেক্ষিত অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

Share this:


হাসান মাহামুদ, অতিথি প্রতিবেদক: মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য ও স্বাস্থ্য বিধি লঙ্গন করে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ প্রদান করায় নিয়োগ বাতিলের দাবীতে মানবন্ধন করেছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা জেলা ইউডিসি উদ্যোক্তা ফোরামের আয়োজনে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধন শেষে উদ্যোক্তা প্রকাশ বিশ^াস সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন উদ্যোক্তা আসাদুল হক চঞ্চলসহ অন্যান্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করলে খুলনা জেলার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা তাদেরকে নিয়োগ দানের জন্য উচ্চ আদালতে পৃথক পাঁচটি রীট পিটিশন করেন। যার মধ্যে একটি রীট পিটিশন আপীল বিভাগ থেকে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। রীট পিটিশনে পিটিশনারদের অগ্রাধিকার প্রদানের জন্য আপীল বিভাগ আদেশ প্রদান করেছেন। এছাড়াও বাকি চারটি রীট পিটিশন উচ্চ আদালতে চলমান রয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং একটি রীট পিটিশনে পিটিশনারদের বিপরিতে পদ খালি রাখার জন্য উচ্চ আদালত আদেশ নির্দেশ প্রদান করেন।
গত ৪ এপ্রিল ২০২০ ইং সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্টার জেনারেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সকল মামলায় উচ্চ আদালত হতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থা/স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়েছে সে সকল মামলার আদেশের কার্যকারিতা আদালত খোলার তারিখ হতে ২ (দুই) সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে মর্মে গণ্য হইবে।
বক্তারা আরও বলেন, খুলনার জেলা প্রশাসক আইন আদালত উপেক্ষা করে এই করোনা ভাইরাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্গন করে গত ২০ জুন ২০২০ ইং একই দিনে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরিক্ষা নিয়ে ফলাফল চুড়ান্ত করেন। যাতে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগের জন্য জেলা প্রশাসকের অসৎ উদ্দেশ্যের চিত্র ফুটে উঠে। তাই খুলনা জেলার ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব সহকারী পদের নিয়োগ পরিক্ষার চুড়ান্ত ফলাফল বাতিল করে অবৈধ নিয়োগ বন্ধ করে পিটিশনারদের বিপরিতে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বর্তমান সরকার সারাদেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলোয় তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (ডিজিটাল সেন্টার) স্থাপন করেন। সেই থেকে ইউডিসি উদ্যোক্তারা ইউনিয়ন পরিষদের দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি স্বল্প মূল্যে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা দিয়ে আসছেন। এরইমধ্যে বিভিন্ন জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হলে। দীর্ঘদিন কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ নিয়োগ পাওয়ার লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচীসহ উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন করেন উদ্যোক্তারা। উচ্চ আদালত থেকে পিটিশনারদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করার আদেশ দেয়া হলেও কতিপয় জেলা প্রশাসক আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। সর্বশেষ এই করোনা ভাইরাসের মধ্যে তড়িগড়ি করে পিটিশনার অগ্রাধিকার না দিয়ে খুলনায় নিয়োগ সম্পন্ন করায় পিটিশনারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *