দেশে প্রথমবার মোবাইলে চিত্রধারণ করে সিনেমা নির্মাণ
করোনাভাইরাসের জেরে বন্ধ রয়েছে সিনেমা হল। রোজার ঈদেও হল খোলেনি এবং কোরবানি ঈদেও খোলার সম্ভাবনা নেই তবে জানা গেছে এই বিষয়ে একটি মিটিং চলমান রয়েছে।ঈদের আনন্দে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার বিনোদন থেকে বঞ্চিত যাতে না হন দর্শক তাই সিনেমার অভাব পূরণ করতে নানা আয়োজনে সেজেছে টিভি ও বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মগুলো।
অনেক নির্মাতাই সিনেমার আমেজ নিয়ে নানারকম নির্মাণ নিয়ে হাজির হচ্ছেন।তার ভিড়ে আসতে চলেছে ‘থ্রি’। ঘরে বসেই নির্মাণ হলো থ্রিলারধর্মী এই ওয়েব ফিল্ম।এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে এই প্রথমবার কোনো মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে একটি দীর্ঘ সময় ব্যাপ্তির একটি ওয়েব ফিল্ম নির্মিত হলো। হলের দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালনা করেছেন আহমেদ জিহাদ।এই কোরবানি ঈদে এটি একটি বেসরকারি চ্যানেল এবং প্রথমসারির একটি অনলাইন প্লাটফর্মে ওয়েব ফিল্মটি অবমুক্ত করা হবে।
এই প্রসঙ্গে নির্মাতা আহমেদ জিহাদ ডেইলি বাংলাদেশ টাইমকে বলেন ,এটি যে কোনো একটি কারণে গত ঈদে আমরা মুক্তি দিতে পারিনি তবে এবারের কোরবানি ঈদে ওয়েব ফিল্মটি মুক্তি পাচ্ছে।সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে দেশে এই প্রথম দীর্ঘ সময়ের একটি ওয়েব ফিল্ম এর শুটিং যেটি মোবাইল ডিভাইস দিয়ে করা হয়েছে।এটা আসলে ফিল্মের মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ থ্রিলার গল্প। প্রতি সিকোয়েন্সে সাসপেন্স রয়েছে। আমার এই প্লানটা ছিল লকডাউনের শুরুতেই।ইমতু ভাই সাঞ্জু ভাই নীরব ভাইকে ভাগ্যবশত আমি সবাইকে একসঙ্গে পেয়েছি কলকাতাতে।তারাই নিজেরই এটির চিত্রধারণ করেছেন এবং আমি ভিডিও কলের মাধ্যমে ডিরেকশন দিয়েছি।
জিহাদ আরো বলেন,এই ওয়েব ফিল্মের অর্থ আমরা কেই নিজেরা নিচ্ছিনা বরং এই করোনাকালে অসহায় মানুষদের মধ্যে এই টাকাটি আমরা বিলিয়ে দিবো।এছাড়াও আমার বিচ্ছু সিনেমার কাজ শুরু করারও পরিকল্পনা করছি এখন খুব শিগ্রহ বিষয়টি নিয়ে আমরা আলাপ করবো টিম মেম্বারদের সাথে।
অভিনেতা সাঞ্জু জন বলেন, ‘আমরা নিজেরাই যার যার ক্যামেরা দিয়ে শুটিং করেছি।আমরা যখন কলকাতাতে এক সঙ্গে ছিলাম তখন কাজটি করেছিলাম এবং খুব ভালো একটি কাজ হয়েছে।সেখানে লকডাউনের জন্য আটকে ছিলাম। ভাবলাম কিছু একটা করি। তাই জিহাদ আর আমরা সবাই মিলেই কাজটি করছিলাম। শুনেছি ঈদেই নাকি আসছে।
আরেক অভিনেতা ইমতু রাতিশ বলেন, ‘ওয়েব ফিল্মের গল্পের প্রেক্ষাপট একদমই ভিন্ন আঙ্গিকের। এখানে কে নায়ক কে ভিলেন বুঝতে হলে পুরো ফিল্মটি দেখে শেষ করতে হবে।প্রতিটি সিনই আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী করেছি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই ফিল্মের আয় করা অর্থ আমরা অসহায় গরিবদের মধ্যে বন্টন করবো এই দুর্যোগ মোকাবিলায়।’
এতে অভিনয় করেছেন মডেল অভিনেতা সাঞ্জু জন, ইমতু রাতিশ, এবং তন্ময়।
