বরিশাল বিভাগ

বরিশালে হলুদ অটোর ভূয়া টোকেন বাণিজ্য জমজমাট

Share this:


বরিশাল ব্যুরো॥ নগরীতে ব্যাটারি চালিত হলুদ অটোর ভুয়া টোকেন বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র।
জানা গেছে, কয়েক বছর পূর্বে নগরীতে চালু হয় ব্যাটারি চালিত হলুদ অটো। বিগত দুই মেয়রের আমলে সর্বমোট ২৬১০ টি অটোর লাইসেন্স প্রদান করেন সিটি কর্পোরেশন। তবে বর্তমানে নগরীতে চলাচল করছে তার কয়েকগুণ।
বিসিসি সূত্র জানা গেছে, বিগত সময়ে কয়েক দফা মিলে সর্বমোট ২৬১০টি অটোর লাইসেন্স প্রদান করা হয় এবং তা বাৎসরিক নবায়নযোগ্য। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ টোকেনের লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া বন্ধ করেন। বিসিসির নবায়ন খরচ না থাকলেও শ্রমিকদের প্রতিমাসে গুনতে হচ্ছে এক থেকে দুই হাজার টাকা। এছাড়া প্রতারক চক্র ভুয়া টোকেন বানিয়ে ও সংগঠনের নামে হাতাচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এদিকে বিসিসির এক দ্বায়িত্ববান কর্মকর্তা জানান, নবায়ন বন্ধ মানেই হলো হলুদ অটো অবৈধ, আর অবৈধ যানের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে পুলিশ। তিনি আরো জানান, ট্রাফিক পুলিশ কেন বা কোন স্বার্থে এখনো নগরীতে হলুদ অটো চলাচল করতে দিচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়। অটোচালক সাইফুল ইসলামসহ এশাধিক অটোশ্রমিকরা জানান, নবায়ন বন্ধ থাকলেও কতিপয় লোকজন ভুয়া টোকেন ও সংগঠনের নামে টাকা হাতাচ্ছেন। প্রতারক চক্র ও সংগঠনের নামে যারা অটোশ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বরিশাল সিটি মেয়র ও প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন অটোশ্রমিকরা। বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের ভাষ্যমতে, নগরীতে বর্তমানে ৪/৫ হাজার অটো চলাচল করে এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন হলুদ অটো নামছে সড়কে। এবিষয়ে বরিশাল ডিসি ট্রাফিক মোঃ জাকির হোসেন জানান, টাকা পয়সা কারা হাতাচ্ছেন তা আমার জানা নেই। তবে হলুদ অটো অবৈধ, আর এই অবৈধ হলুদ অটোর বিরুদ্ধে আটক অভিযান চলমান আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *