গল্পগানবিনোদন

একজন আর্ট সাইদ থেকে সংগীতের পাড়ায় যেভাবে আবির্ভাব সাইদুল ইসলামের

Share this:

তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এ বিশ্বাসের উপর ভর করে তারুণ্যতায় এখন সয়লাব। সবস্থানেই এখন নতুনত্বর খোঁজ সবাই দেখতে চায় নতুন কিছু। বাংলাদেশের এক শ্রেণীর তরুণ উদ্যিয়মান তারা একটি কর্মসাফল্যে আটকে থাকে আবার অনেকেই নিজেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নিজেদের মেলে ধরে, আর তার মধ্যেই একজন উদ্যিয়মান তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তাও সঙ্গীত শিল্পী, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং পেইন্ট পরামর্শদাতা সাইদুল ইসলাম। যিনি অভ্যন্তরীণ নকশা এবং পেইন্টিং কনসালটেন্সির পৃথিবীতে আর্ট সাইদ নামেই অধিক পরিচিত ও জনপ্রিয়। ব্যবসার প্রতি মনযোগী আর গানের প্রতি ভালোবাসা এই দুটোকেই পুজি করে এগিয়ে যাচ্ছেন আর্ট সাইদ। কাজের ফাকে ফাকেই তিনি সংগীত করতে ব্যস্ত হয়ে পরেন নতুবা নতুন সুর নিয়ে ভাবেন।

ব্যবসায়িক ভাবে প্রথমে তার যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে। তিনি সাইদুল ইসলাম আর্ট সাইদ নামে একটি কোম্পানি খোলেন। যা এখনো চলমান। টিম আর্ট সাইদ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে থাকে। আর্ট সাইদ শুধু একাই নন তার একটি বিশাল দল রয়েছে। যারা আর্ট সাইদ মানে সাইদুল ইসলাম এর অধীনে কাজ করে।

আর্ট সাইদ

আর্ট সাইদ রাতারাতি নজরে আসেন ২০১৯ সালে। তার টিম আর্ট সাইদ কক্সবাজার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডে মারমেইড ইকো-ট্যুরিজমের অধীনে “100-মাইল আর্ট গ্যালারি” নামে একটি শিল্প প্রকল্পের কাজ শেষ করেন। এই কাজের মাধ্যমে সাইদুল ইসলাম ওরফে আর্ট সাইদ একাধিকবার গণমাধ্যমের খবরের শিরোনাম হয়েছেন।

বর্তমানে আর্ট সাইদ এর অধীনে চল্লিশটিরও বেশি কাজের প্রকল্প রয়েছে ও চলমান। তারা সুনামের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানিতে কাজের অর্ডার সম্পন্ন করছে।

তার কাজের প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়্যাল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট, হোটেল সী শাইন, মারমেইড বিচ রিসোর্ট, হোটেল গোল্ড স্যান্ডস, হোটেল বিচ ওয়ে, হোটেল বে হিলস, ওয়াইল্ড ক্যাফে বান্দরবান, মারমেইড ক্যাফে রাঙ্গামাটি, গাজী রিসোর্ট খুলনা, মারমেইড গ্যালারি ক্যাফে ঢাকা। , আর্ক প্লাজা চট্টগ্রাম আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোতে তাদের কাজ রয়েছে।

টীম উইথ আর্ট সাইদ

আর্ট সাইদ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের তীরে ৩০টিরও বেশি হ্যাচারিতে কাজ করেছেন।

এই কাজের প্রসঙ্গে নিয়ে ডেইলি বাংলাদেশ টাইম এর সাথে কথা হয় আর্ট সাইদ খ্যাত সাইদুল ইসলাম এর সাথে তিনি বলেন,আমরা আপনার বাড়ি, হোটেল, প্রজেক্টের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অংশকে বিলাসবহুল করতে সক্ষম যা অন্যদের থেকে আলাদা হবে।

তিনি আরো বলেন, এভাবেই আমরা কাজের মধ্যে নিজেদের বুদ রাখি। আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা প্রচুর কাজ করেন। আমরা এভাবেই নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবো। সবাই দোয়া করবেন।

অন্যদিকে তার সংগীতশিল্প নিয়েও আবেগ ভালোবাসার যেন শেষ নেই।,লাভ কক্সবাজার, দ্য ব্রিটেন মিউজিক এবং ফার্স্ট লাভ অন মিউজিকের মাধ্যামে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ভাইরাল হন। রাতারাতি জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি তাকে অন্যতম শীর্ষতায় আনেন।

Bangladeshi Popular Art God Art Shaid

গানের প্রসঙ্গে আর্ট সাইদ ওরফে সাইদুল ইসলাম ডেইলি বাংলাদেশ টাইম কে বলেন, আসলে গানের প্রতি আমার ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসা, আর গানের মিউজিকগুলো আমায় ভিশনভাবে টানত।তাই আমি গানের মিউজিক টাকেই বেছে নিই। অবশ্য এর জন্য আমার পরিবার থেকেও অনেক কথা শুনতে হয়েছে।তারপরেও আমি গান নিয়েই চলছি। বেশ কিছু প্রজেক্টের ব্যাপারে কথা হচ্ছে। সঙ্গে সলো ও ডুয়েট নিয়ে শিগগিরই কিছু মিউজিক করব।এছাড়াও কলকাতার শীর্ষ মিউজিক ডিরেক্টর গায়ক, গীতিকার চন্দ্রদেব বাসুর সাথেও নিয়মিত আলোচনা ও যোগাযোগ হচ্ছে। হয়ত এই বছরের শেষে ভালো কিছু কাজ উপহার দিতে পারব আমার ভক্তকূলদের।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *