গৌরনদীতে ভুয়া চাদাঁবাজি মামলায় বিএনপি নেতার জামিন
সুজন শরীফ, উপজেলা প্রতিনিধি –
বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক ১ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর জাকির হোসেন, সহ চারজন নেতার বিরুদ্ধে ভুয়া চাঁদাবাজির মামলা করেন টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী একেএম জামিল সিকদার ওরফে মিঠু সিকদার আজ। এই ভূয়া মামলায় কোর্ট থেকে আজই জামিন পান জাকির শরীফ ।
বিস্তারিত তথ্যের প্রমাণ নিতে গেলে জানা যায়, পুরো মামলাটির কারণ ছিল ইচ্ছেকৃত, ভিত্তিহীন এবং ভুয়া। আরো জানা যায় ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই নোংরা রাজনীতি শিকার হয় কাউন্সিলর জাকির শরীফ।
স্থানীয় কিছু অসাধু বিএনপির নেতাকর্মী ও আওয়ামীলীগের কিছু কর্মীদের সাথে মিলেই এই মিথ্যা চাঁদাবাজীর নাটক রচনা করেন মিঠু সিকদার। বিষয়টি জানতে গেলে ডেইলি বাংলাদেশ টাইম কে সাবেক কাউন্সিলর জাকির শরীফ বলেন, খুব দু:খজনক বিষয়টি ।
বিগত ১৭ বছর ধরে আমি ঠিকমত নিজের এলাকায়ও যেতে পারতাম না। কতনা নির্যাতিত হয়েছি, উপহাস পেয়েছি, কতরাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছে তা হিসেব করে রাখিনি কোনো অংকের খাতায়। যে এলাকায় নিযে ঠিকমত যেতে পারিনি সে এলাকায় মিঠু সিকদার কে চিনতে পারাটা বেশ কষ্টের বলা যায়।
কিভাবেই চিনবো তাকে? আজ এই ঘটনার পরেই তার সম্পর্কে জানলাম সে নাকি ১ ওয়ার্ডের র্পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। আমার দীর্ঘদিন রাজনীতির ইতিহাসে এমন কিছু আমার সাথে কেউ ঘটাবে ভাবতে পারিনি।
আমি এর সঠিক বিচার চাই। স্থানীয় বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অরাজনৈতিক ব্যবসায়ী জানান, জাকির শরীফ বিএনপির নেতা, তিনি আমাদের ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে তেমন চিনি না কিন্তু তার রাজনৈতিক ইতিহাস বেশ লম্বা ।
আমার জীবনকালে তাকে কোনোদিন দেখিনি অপরাজনীতি করতে। মানুষ হিসেবে তিনি খুব ভালো। আর যে মিথ্যে মামলা দিয়েছে মিঠু সিকদার সে তো নিজেই অন্য চরিত্রের মানুষ যতদুর জানি। তাকে টোপ দিয়ে অনেক রাজনৈতিক নেতা তাকে দিয়ে আখের গুছিয়েছেন।মিঠু সিকদার নিয়ে আর কোনো মতামত দিতে চাইনা।
উল্লেখ্য, বার্থী ইউনিয়ন থেকে সেই ৯০ সাল থেকেই সাবেক কাউন্সিলর জাকির শরীফ এর পূর্ণ রাজনীতিতে প্রবেশ এর আগে ছাত্র রাজনীতির সাথে তিনি ছিলেন। এরপরে ২০০৪ সালে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠা এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পৌরসভার নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হন। পরবর্তী আওয়ামীলীগ আসার পরে বহু নির্যাতনের শিকার হন। সর্বশেষ ২০২২ সালে আওয়ামীলীগ এর কিছু নেতাকর্মীদের হাতে নির্মমভাবে প্রহার পান তিনি। তার পা ভেঙে পেলে তারা।