যাত্রীকে মারধরের ঘটনায় যা বলল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ

(সোয়েব সিকদার, অরণ্য)-ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচ যাত্রীকে হেনস্তা ও এক যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধ। একই সঙ্গে বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা এক কর্মীকে দুই যাত্রী মারধর করেছেন বলে দাবি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এতে বলা হয়, গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক আগমনী কেনপি–২ এর সামনে দুইজন যাত্রী বিমানবন্দরের একজন নিরাপত্তা সদস্যকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, পাঁচজন যাত্রী বিমানবন্দরের কার্যক্রম শেষ করে কেনপি-২ এলাকা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে একজন ট্রলিসহ কেনপি-২ এর গেটের সামনে অবস্থান করছিলেন। এতে অন্য যাত্রীদের জন্য প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি দেখতে পেয়ে কর্তব্যরত একজন নিরাপত্তাকর্মী ওই যাত্রীকে কিছুটা সরে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু ওই যাত্রী তা কর্ণপাত না করে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরবর্তীতে কিছুক্ষণ পরে ওই নিরাপত্তাকর্মী পুনরায় ওই যাত্রীকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে গেলে ওই রেগে যান। এ সময় ওই যাত্রী অশালীন ভাষায় ওই নিরাপত্তাকর্মীকে গালিগালাজ করতে থাকেন। 

এতে বলা হয়, ওই স্থানে নিয়োজিত আরও একজন নিরাপত্তাকর্মী ওই যাত্রীকে শান্ত করার চেষ্টা করলে একপর্যায়ে ওই যাত্রীর ছেলে ওই  নিরাপত্তা কর্মীকে শারীরিকভাবে আঘাত ও লাঞ্ছিত করেন। যাত্রীরা ওই নিরাপত্তাকর্মীকে কিলঘুষি মারা শুরু করলে তাদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি হয় এবং ওই নিরাপত্তা কর্মী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় নিয়োজিত আনসার এবং এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা এগিয়ে আসেন। পরে তারা সেখান থেকে ওই নিরাপত্তা কর্মীকে উদ্ধার করেন।

এদিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিমানবন্দরে পাঁচজন যাত্রীকে হেনস্তা ও একজনকে মারধর করেছে বিমানবাহিনীর কুইক রেসপন্স ফোর্স (কিউআরএফ) এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা। মোহাম্মদ সাইদ উদ্দিন নামের এক যাত্রীকে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়েছে।

এরই মধ্য এ ঘটনার একটি ভিডিওতে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সাইদ উদ্দিন নামের এক যাত্রীকে ঘিরে ধরে মারধর করছেন কিউআরএফ ও আনসারের অন্তত ১০ জন সদস্য। এ সময় একজন নারী তাঁকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করছেন। এ ঘটনার আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, মারধরে যাত্রী সাইদের মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়েছে। মুখের নিচে ও বাঁ চোখের পাশে রক্ত লেগে আছে।