করোনা রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেয়ার নীতিমালা তৈরির চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে
করোনা রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেয়া এখন একটি সাধারণ বিষয়ে পরিনত হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের রক্তরস নিয়ে করোনায় আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের দেয়া হয়। তবে ইচ্ছে হলেই কেউ প্লাজমা থেরাপি নিতে পারবেননা। এজন্য একটি নীতিমালা অনুসরণ করা প্রয়োজন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে এখনও কোনো নীতিমালা জারী করেনি। তবে গুরুতর করোনা রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেয়ার নীতিমালা তৈরির ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা চিন্তা ভাবনা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, করোনা মহামারি মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ ছাড়া প্লাজমা থেরাপি দিতে বারণ করা হয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশে অনেকেই কর্ণপাত করছেননা। কোন নিয়ম অনুসরণ না করেই হরদম তা প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত এই চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, আমেরিকাসহ উন্নত অনেক দেশে ও করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পাশাপাশি সঙ্কটাপন্ন রোগীদের উপর প্রয়োগের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
দেখা গেছে, সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে অনেকে স্বজনদের জন্য প্লাজমা দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে পোষ্ট দিচ্ছেন। এ ছাড়াও প্লাজমা ব্যাংক গড়ে তোলার খবরও সংবাদ মাধ্যমে আসছে। বিভিন্ন হাসপাতালও প্লাজমা সংগ্রহ ও রোগীদের মধ্যে তা ব্যবহার করছে। অনেক ক্ষেত্রেই বিনামূল্যে প্লাজমা দান করছেন করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তি। আবার কেউ কেউ টাকার বিনিময়ে প্লাজমা দিচ্ছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
চিকিৎসকদের অনেকে মনে করছেন, এসব ক্ষেত্রে প্রায় ই প্লাজমায় অ্যান্টিবডির পরিমাণ মাপা হচ্ছে না। প্লাজমায় অ্যান্টিবডির পরিমাণ না জেনে এটি প্রয়োগ করলে ভালো ফল নাও আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এখন পর্যন্ত প্লাজমা থেরাপি নিয়ে গাইডলাইন না থাকায় বিষয়টি নিয়ে অনেকে অনৈতিক সুযোগ নিতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।