বিনোদন

কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হল ‘ওয়ার্ল্ড ওমেন কান অ্যাজেন্ডা

Share this:

(জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক-সোয়েব সিকদার )-কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হল ‘ওয়ার্ল্ড ওমেন কান অ্যাজেন্ডা’। যেখানে সমতার নতুন এক বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরল  ওয়ার্ল্ড ওমেন ফাউন্ডেশন।  এখানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ব্রাজিলের সংস্কৃতি মন্ত্রী ও কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মার্গারেথ মেনেজেস।

কানের প্রথম দিনেই চালু হয় ‘Equality Moonshot’— এর মত একটি বৈপ্লবিক উদ্যোগ। এটির লক্ষ্য: গল্প, মিডিয়া, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে সমতার শক্তিশালী ভিত্তি নির্মাণ করা।  আয়োজক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ১.৫ বিলিয়নের বেশি মিডিয়া ইমপ্রেশন অর্জন করেছে।

উদ্বোধনী দিনে ওয়ার্ল্ড ওমেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রূপা ড্যাশ, ফরাসি অভিনেত্রী মারিয়ান বোরগো এবং কাউন্টেস কিয়ারা মোডিকা ডোনা দালে রোজের নেতৃত্বে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। তারা পিতৃতন্ত্রকে “বিটা ভার্সন” বলে আখ্যা দিয়ে নারী-নেতৃত্বাধীন সংস্কৃতিকে “ভার্সনসন ২.০ বলে অভিহিত করেন। যাকে একটি সার্বজনীন নতুন অপারেটিং সিস্টেম।

নারী পরিচালকদের গল্পের একটি সেশন ছিল এতে। এই সেশনে অংশ নেন পরিচালক রুসুদান গ্লুরজিদজে ও আনকা মিরুনা লাজারেস্কু। আলোচনা হয়, কীভাবে নারী পরিচালকদের গল্প এখন শুধু সিনেমা নয়, বরং সংস্কৃতির নতুন কণ্ঠস্বর হয়ে উঠছে। তথ্য বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে নারী পরিচালিত ছবির আর্থিক রিটার্ন ১৭% পর্যন্ত বাড়তে পারে।

এই আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব নারী ফাউন্ডেশন প্রমাণ করেছে—গল্প এখন শুধু বিনোদন নয়, এটি নীতি, অর্থনীতি এবং সুস্থতার কাঠামো তৈরির একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বিশ্ব পরিবর্তনের পথে কান চলচ্চিত্র উৎসব এখন আর শুধু সিনেমার উৎসব নয়—এটি হয়ে উঠেছে ভবিষ্যতের নকশা রচনার কেন্দ্রবিন্দুও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *