ভাঙ্গায় সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে দুই মহাসড়কে অবরোধ, রেল চলাচল বন্ধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে তিন দিনের কর্মসূচি ফের রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। পঞ্চম দিনের মতো ফরিদপুরের ভাঙ্গার উপর দিয়ে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা। তারা মহাসড়কের ওপর গাছ কেটে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দুটি মহাসড়ক আবরোধ করে রেখেছে।
এদিকে, সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নকসীকাথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে রাখে। এ সময় দুই মহাসড়কের উভয় যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়তে শুরু করে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হামিরদী বাসস্ট্যান্ড ও আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী বাসস্ট্যান্ডসহ কয়েকটি স্থানে মহাসড়কে গাছ কেটে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে ঢাকার সাথে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সকল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুই মহাসড়ক অবরোধ করায় দুপুর পর্যন্ত চারদিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন আটকা পড়েছে। এতে যাত্রীদের অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলো ছাড়া অন্য কোন কিছুই তারা যেতে দিচ্ছেন না।
এ সময় অবরোধকারীরা জানান, গত ১৮ বছর যাবত আমরা ভাঙ্গা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছি। ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে আমরা ভাঙ্গা উপজেলাবাসী এক আত্মার বন্ধনে এক পরিবার। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। নির্বাচন কমিশনের এই ভুল সিদ্ধান্ত থেকে যতক্ষণ সরে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হবে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ জানান, দুটি মহাসড়কে গাছ কেটে ও টয়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রেখেছে স্থানীয়রা। তিনি বলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে দুটি ইউনিয়ন ভাঙ্গা থেকে নগরকান্দায় যুক্ত হওয়ায় এর প্রতিবাদের এ ঘটনা ঘটেছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. রোকিবুজ্জামান জানান, সকাল থেকে দুটি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রথম দফায় গত শুক্রবার, মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার সাথে দক্ষিণবঙ্গের পুরোপুরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অবরোধকারীরা। এতে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। তারা অতি দ্রুত এর একটি সমাধান চান সরকারের কাছে।
এদিকে শনিবার বিকালে ভাঙ্গা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একত্রিত হয়ে রোববার থেকে এই তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

