আগামীকাল রোববার বলয়গ্রাস সূযগ্র্রহণ
আগামীকাল রোববার বলয়গ্রাস সূযগ্র্রহণ। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সূর্যগ্রহণ শুরু হবে কঙ্গোতে, সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে ভারতে আর গ্রহণ শেষ দেখা যাবে ফিলিপিনের আকাশে। ২১ জুন সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট ৬ সেকেন্ডে কঙ্গোর ইম্পফোল্ডো শহরে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে কঙ্গোর বোমা শহরে ১০টা ৪৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণ ভারতের যোশীমঠ শহরে দেখা যাবে ১২টা ৪০ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শেষ হবে ফিলিপিনের সামার শহরে ২টা ৩১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। আর সূর্যগ্রহণ শেষ হবে ফিলিপিনের মিন্দানাও শহরে ৩টা ৩৪ মিনিটে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশের আকাশেও আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়গ্রহণ হবে ১টা ১২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে, ময়মনসিংহে ১টা ১২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে, চট্টগ্রামে ১টা ১৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে। এছাড়া সিলেটে ১টা ১৬ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে, খুলনায় ১টা ৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে, বরিশালে ১টা ১২ মিনিটি ৩২ সেকেন্ডে, রাজশাহীতে ১টা ৬ মিনিটি ২৬ সেকেন্ডে এবং রংপুরে ১টা ৭ মিনিট ২০ সেকেন্ডে কেন্দ্রীয় সূযগ্রহণ হবে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় সূর্যগ্রহণ দেখার আয়োজন করেছে।
অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মো. শাহজাহান মৃধা জানান, সূযগ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এক্সরে ফিল্ম, নেগেটিভ, ভিডিও ও অডিও ক্যাসেটের ফিতা, সানগ্লাস, ঘোলা বা রঙিন কাচে এসব ক্ষতিকর অতিবেগুনী ও অবলোহিত রশ্মি আটকায়না। তাই কোনক্রমেই এগুলো দিয়ে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যাবেনা।
অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগ আরো জানিয়েছে, ১৩ ও ১৪ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস বা আর্ক গ্লাস দিয়ে নিরাপদে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যায়। ১১ গ্রেডের ওয়েল্ডিং কাচ দিয়েও গ্রহণ দেখা যাবে, তবে সেক্ষেত্রে দু’টি কাচ একত্রে জোড়া দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। তবে কোন ফিল্টার দিয়েই একনাগাড়ে বেশিক্ষণ তাকানো যাবেনা। সোলার ফিল্টার ছাড়াও পিনহোল ক্যামেরা দিয়ে কোনো কাগজ বা পর্দার ওপর সূর্যের প্রতিবিম্ব ফেলে গ্রহণ দেখা যেতে পারে। সংগঠনটির পক্ষ্য থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে চোখের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনপূর্বক সূযগ্রহণ পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।