বরিশালে সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকারের কারাদন্ড
বরিশাল ব্যুরো : ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বরিশাল সদর সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার (কম্পোজিটর) আবু বকর সিদ্দিকীকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাস সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বরিশাল বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ মহসিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আবু বকর সিদ্দিকী মাদারীপুর জেলার শিবচর সন্ন্যাসির চরের মৃত আঃ কাদের মাষ্টারের ছেলে। আবু বকর সিদ্দিকী তার মূল কর্মস্থল ঢাকা তেজগাঁও ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর থেকে প্রেষণে বরিশাল সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় সে আদালতে উপস্থিত ছিলো বলে জানিয়েছের বেঞ্চ সহকারি হাররুন অর রশিদ।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর বাকেরগঞ্জ বোয়ালিয়ার সৌদি প্রবাসি মাসুদ আলম খান নগরীর রুপাতলী এলাকায় ৭.৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। প্রবাসির ভাইয়ের নির্দেশে আব্দুল মন্নান খান জমির নামপত্তন করতে বরিশাল সদর সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসে কাগজপত্র জমা দেন। ওই বছর ১২ ডিসেম্বর শুনানী হয়। পেশকার আবু বকর সিদ্দিকী শুনানীর রায়ের কপি দিতে আব্দুল মন্নান খান কাছে ১ লাখ টাকা দাবী করেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও আব্দুল মন্নান ১০ হাজার টাকায় রফাদফা করেন। এরপ্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনে আব্দুল মন্নান খান অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক কর্মকর্তারা সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসে ফাঁদ পাতেন। সেই ফাঁদে দুদকের স্বাক্ষর করা ১০ হাজার টাকাসহ ধরা পরেন আবু বকর সিদ্দিকী। ১৪ ডিসেম্বর আবু বকর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা দায়ের করেন উপ সহকারি পরিচালক আল আমিন। সাক্ষ্য প্রমানে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত ওই রায় ঘোষণা করেন।