বিনোদন

একজন অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখি -আরেফিন জিলানী

Share this:

আরেফিন জেলানী নোয়াখালী জেলা শহরের ছেলে হলেও বেড়ে ওঠা ব্যস্ত নগরী ঢাকাতে।ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ছিল ঝোঁক টান বাংলা সিনেমার প্রতি তার রয়েছে অগাত ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা।পর্দায় আলমগীর, রাজ্জাক, ইলিয়াস কাঞ্চন, সালমান শাহ রিয়াজ অমিত হাসান,বাপ্পারাজ , আমিন খান রুবেলদের দেখে নিজেকে নায়ক বানাতেন ফ্যান্টাসিতে।শাবনূর পূর্ণিমাতে পরতেন প্রেমে।তখন থেকে অভিনয়ের ভুত ওঠে মাথায় ভাবনাটা শুরু হয় একজন অভিনেতা হওয়ার।এরপর থেকেই ঘুরতে থাকেন সিনেমাপাড়াতে।

তার অভিনয়ের গল্প আড্ডা নিয়ে কথা বলেছেন ডেইলি বাংলাদেশ টাইমের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি অরণ্য শোয়েব এর সাথে।

ডেইলি বাংলাদেশ টাইম : ছোট করে শুনতে চাই আপনার মিডিয়ায় যাত্রা শুরু কিভাবে ?

আরেফিন জেলানী :আমি আসলে খুব কষ্ট করেছি এই অভিনয়ের জগতে আসতে।আমার শুরুটা হয়েছিল রেডিও স্টেশন এর আরজে হিসাবে।আরজে ছিলাম রেডিও টু ডে থেকে শুরু করে আরো দুটি রেডিওতে।খুব সম্ভব ২০১৫ তে শুরু করছিলাম আমি।পাশাপাশি আমি প্রাচ্যনাট মঞ্চের সাথে যুক্ত আমি মঞ্চে কাজ শুরু করি ২০১৭ থেকে।প্রথম একটি ওভিসি থেকে আমার অভিনয়ের শুরু ঘটে।আমি খুব ভালো নাচতে পারি এবং সেই সময় ওই বিজ্ঞাপনটিতে দরকার ছিল এমন একটা ছেলে এবং আমি পারফেক্ট ছিলাম।আমার খুব কাছের দুটি ভাই হেল্প করেছিল এখানে কাজটি দেবার জন্য।আসলে আরজে যখন ছিলাম তখন থেকেই আমার অভিনয়ের ঝালাই চলছিল কারণ মাঝে মধ্যেই আমার ভয়েজ ক্যারেক্টার করতে হতো।আর আমি মনে করি এই আরজে আমাকে সাহায্য করেছে অভিনেতা হতে।যদি এখনো ভালো করে অভিনেতা হতে পারেনি (হাসি দিয়ে)।

ডেইলি বাংলাদেশ টাইম : এখন পর্যন্ত কয়টা নাটকে অভিনয় করেছেন ?

আরেফিন জেলানী :আমি আসলে কিন্তু মডেলিং করিনি সবাই ভাবে আমি মডেলিং করি কিন্তু আসলে তা নয়। আর আমার ইচ্ছে ছিল সব সময় সিনেমায় অভিনয় করার কারণ আমি নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করতাম। এই কারণেই নাটকে খুব একটা কাজ করা হয়নি কারণ আমি সিনেমায় কাজ করতে চেয়েছি।আমি টুকটাক করেছি তবে আমি এটা বলতে চাইনা।তবে বেশ কিছু শর্টফিল্ম করেছি .

ডেইলি বাংলাদেশ টাইম : সিনেমায় কাজ করেছেন ?

আরেফিন জেলানী :সিনেমার জন্যই তো আমি আমার এই মিডিয়াতে প্রবেশ।আমি কিন্তু ওয়েব সিরিজে কাজ করেছি অনেক আগে তখন বাংলাদেশে এত জনপ্রিয় হয়নি ওয়েব সিরিজ এর মাধ্যমগুলো।আমি মোট তিনটে সিনেমায় অভিনয় করেছি এর মধ্যে একটি রিলিজ হয়েছে নাম সাপলুডু আরো একটি মুক্তি পাবার কথা ছিল কিন্তু করোনার কারণে আটকে গেছে এবং আরো একটি সিনেমার শুটিং চলছিল ।

ডেইলি বাংলাদেশ টাইম : নায়ক নাকি অভিনেতা কোনটা হতে চান ?

আরেফিন জেলানী :দেখুন আমি নিজেকে অভিনেতা হিসাবে দেখাতে চাই সবার কাছে।এবং একজন অভিনেতা হিসাবেই দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে চাই আমি।আর নায়কের বিষয়টা হচ্ছে গল্পের উপরে নির্ভর করে আর এখন কিন্তু নায়কের ধরণটা এখন চেঞ্জ হচ্ছে সবাই গল্প নির্ভর হচ্ছে। সবাই কিন্তু এখন বেশিরভাগ চরিত্রকে মূল্যয়ন করছে ।আর আমিও চাই নিজেকে একজন অভিনেতা হিসাবে প্রমান করতে।

ডেইলি বাংলাদেশ টাইম : আপনার অভিনয়ের আইকন কে ?

আরেফিন জেলানী :বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার হুমায়ন ফরীদি স্যারকে কিন্তু তিনি তো নেই আমাদের মাঝে। তবে আরো একজনকে ভালো লাগে তিনি হচ্ছেন শহীদুজ্জামান সেলিম স্যার। তার অভিনয় আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায় তিনি আসলে একজন ভালো অভিনেতা।

ডেইলি বাংলাদেশ টাইম :একজন ছেলে মডেল অভিনেতার শোবিজে কাজ করতে গেলে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ?

আরেফিন জেলানী :নতুন হিসাবে কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যার সামনেই পরতে হয় তবে কিছু সমস্যা টেকনিক্যালি হ্যান্ডডেল করতে হবে। বেশি যে সমস্যা হয় সেটি হলো নতুনদের উপরে ভরসা রাখতে চায়না কারণ কাজ জানে না জানে এটা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দে পরতে হয়।নিজেকে প্রমান করতে সময় লাগে আস্থা গড়ে উঠতেও সময় দরকার হয়।এছাড়াও আরো অনেক সমস্যায় পরতে হয়।

ডেইলি বাংলাদেশ টাইম :পরিবার থেকে কেমন সাপোর্ট পান ?

আরেফিন জেলানী :যদি না পেতাম তাহলে সারভাইভ করতে পারতাম না। আমার মা আমাকে অনেক সাপোর্ট করে। তিনি বলেন সততার সাথে কাজ করতে এবং ভালো কিছু করতে গেলে কষ্ট করতেই হবে।মা আমার কাজের ভক্ত তিনি সবসময় পাশে থাকেন এবং মা আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আর বাবা খুব একটা নাটক সিনেমা দেখেননা তবে বাবাও জানে আমি কাজ করি।

ডেইলি বাংলাদেশ টাইম :আপনার বর্তমান ব্যাস্ততা কি ?

আরেফিন জেলানী :একটা ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা হচ্ছে সেটির গল্পটা পড়ছি এখন। এবং রিহার্সেল করি একা একা নিজের সাথে।এবং বাসায় আছি টুকটাক বাসার কাজে সাহায্য করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *