‘চায়ের চুমুকে’র অতিথি বুলবুল টুম্পা
দেশের জনপ্রিয় মডেল ও কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা।মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই মডেলিং শুরু করেন।অনেকের মুখেই শোনা যায় বিবি রাসেলের পরে বুলবুল টুম্পার নাম আসে ফ্যাশন জগতে।বুলবুল টুম্পা তার অবস্থান তিনি শক্তপক্ত করেছেন তাকে ফ্যাশন জগতে এক নামেই সবাই চেনেন যদিও নিজের এই অবস্থান পেতে তার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জন্য বন্ধ আছে ফ্যাশন শো এবং বিভিন্ন পণ্যের বিগ বাজেটের সব ফটোশুটও।করোনার আক্রমণ এর প্রভাব বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ড্রাস্ট্রির উপরে পরেছে বেশ ভালোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তবে অনেকের মতেই আবার সব কিছু পরিবর্তন হতে পারে যদিও একটু সময় লাগতে পারে।
করোনার সময় বুলবুল টুম্পাও অবস্থান করেছেন নিজ পরিবারের সাথে এবং ঘরে বসেই টুকটাক কাজ এবং সোশ্যাল ওয়ার্ক করছেন।বেশ কিছুদিন আগেও ইউজিবি নামের একটি সাহায্য সংস্থার ব্যান্ড এম্বাসেডর হয়েছেন তিনি।সেই সংস্থা থেকে অসহায় মানুষদের মুখে অন্ন তুলে দেয়া হয় এবং রমজান মাসেও বেশ সরব ছিল।

সম্প্রতি তিনি এটিএন বাংলার জনপ্রিয় শো ‘চায়ের চুমুকে’র অতিথি ডাক পেলেন।গতকাল এটিএন ফ্লোরে এটির শুটিং হয় এবং এটি প্রযোজনা করেছেন মোস্তাক এইচ মাসুক।ঈদের দুই একদিন পরে প্রোগ্রামটি অনএয়ার হবে বলে জানান প্রযোজক।
এই প্রসঙ্গে জনপ্রিয় মডেল ও কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা বলেন ,আসলে খুব ভালো লাগছে এখানে এসে এবং ভালোই আড্ডা গল্প হলো।অনুষ্ঠানে আমার কাজ এবং বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা গল্প তুলে আনা হয়েছে।অনেক বলা না বলা কথাও বলেছি এবং বাংলাদেশ ফ্যাশন ইন্ড্রাস্টি নিয়েও অনেক আড্ডা হয়েছে।
বুলবুল টুম্পা আরো বলেন,একটু ভয়ে ভয়ে শুটিং করতে হয়েছে কারণ যা অবস্থা এখন দেশের তাতে করেই ভয় তো কাজ করবেই।এবং আমরা চেষ্টা করেছি সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজটি করার।সবাইকে আমন্ত্রণ জানালাম অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য।
উল্লেখ্য,১৯৯৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই মডেলিং শুরু করেন বুলবুল টুম্পা।তিনি দেশের নামিদামি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের সাথে কাজ করেছেন। তার অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী দেশের নামকরা মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত আজ।এবং তার একটি স্কুল রয়েছে মডেলিং ও কোরিওগ্রাফির।