প্রযোজক ইকবালকে প্রাণনাশের হুমকি দিলেন সাবেক স্ত্রী!
(ইয়ামিন হক রানা)-চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সহ সাধারন সম্পাদক মো. ইকবালের বিরুদ্ধে সম্প্রতি রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার সাবেক স্ত্রী তাহেরা জেনিফার ফেরদৌস। জোরপূর্বক বিয়ে করতে চাওয়া এবং অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাহেরা ফেরদৌস জেনিফার। এবার প্রযোজক ইকবাল পাল্টা জিডি করলেন তাহেরা ফেরদৌস জেনিফারের বিরুদ্ধে। সুনাম ক্ষুন্ন এবং জীবনের নিরাপত্তার হুমকির অভিযোগে গুলশান থানায় এই সাধারন ডায়েরি করেন ইকবাল। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে থানায় হাজির হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
ইকবালের অভিযোগ- আমাদের প্রথমে সম্পর্ক ও পরবর্তীতে বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন আমরা ভালই ছিলাম এক পর্যায়ে তাহার উশৃঙ্খল, অনৈতিক কার্যকালাপ ও বেপরোয়া চলা ফেরার জন্য জেনিফার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পরে আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা সহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও হুমকি ধামকি প্রদান করেন। সে আমার ফ্লিম জগতের ভাব মূর্তি নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে হুমকি প্রদান করেন এমন কি যে সকল আটিষ্ট আমার ফ্লিমে কাজ করতে চায় তাদের বিভিন্ন কু-পরামর্শ প্রদান করে। সে আমার ফ্লিমে কাজ করিতে আগ্রহী আটিষ্ট তাসনিয় (২২) কে আমার ফ্লিমে কাজ করিতে নিষেধ করেন এবং তাকে নায়িকা বানানোর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা সহ ব্যাবসায়ীদের কাছে নিয়ে যায়।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেনিয়ার আমাকে সংগীত পরিচালক ইমন সাহার মাধ্যমে প্রস্তাব দেয় যে তাকে বিশ লক্ষ টাকা প্রদান করিলে সে সকল প্রকার মামলা তুলে নিবে এবং সম্পূর্ন বিষয়ে আপোষ মিমাংসা করে ফেলবে। আমি ইমন সাহার নিকট এই কথা শুনে বিবাদী জেনিফারকে জিজ্ঞাসা করিলে সে জানায় ইমন সাহাকে আমি বিয়ে করবো তাতে আমার কি আসে যায়। সে নিজে এবং সংগীত পরিচালক ইমন সাহাকে দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি প্রদান করে যাহা আমার চলচিত্র জগতে সুনাম ক্ষুন্ন করা সহ জীবনের নিরাপত্তার হুমকি স্বরুপ।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে প্রযোজক নেতা ইকবালের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন জেনিফার। সাবেক স্ত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে চাওয়া এবং ইন্টারনেটে অশ্লীল ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। উল্লেখ করে তিনি সাধারণ ডায়েরি করেন। একটি গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায় যে, মঙ্গলবার ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জেনিফার ব্যবসায়িক মিটিংয়ে অংশ নেন। হঠাৎ সেখানে দেখা হয় ইকবালের সঙ্গে। ইকবাল সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। শুধু তা-ই নয়, উপস্থিত সবার সামনে জানান, জেনিফারকে তিনি আবার বিয়ে করবেন। তখন ইকবালের সঙ্গে যেতে না চাইলে তিনি নাকি জেনিফারকে দুই গালে থাপ্পড় মারেন। বিবাদীর এমন আচরণ দেখে ওই সময় সঙ্গে থাকা চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ও সহকারী পরিচালক মিনহাজুল ইসলাম জেনিফারকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন। এমনটাই একটি গণমাধ্যমে জেনিফা বলেছেন।
তবে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে ইকবাল বলেন, সোনারগাঁও হোটেলে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে ঠিকই কিন্তু বিয়ে করার কথা, থাপ্পড় মারাসহ অন্যান্য বিষয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। যাঁর সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে, তাঁকে আবার বিয়ে করার তো প্রশ্নই আসে না। মো. ইকবালের দাবি, জেনিফারের অপকর্মের খবর জানতে পেরে তাঁর কাছ থেকে সরে আসেন তিনি। চলচ্চিত্রাঙ্গনের কেউই তাঁর ব্যাপারে ইতিবাচক ধারণা রাখেন না বলে জানালেন এই প্রযোজক। ঘটনাস্থালে উপস্থিত সহকারী পরিচালক মিনহাজুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে জেনিফার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেন।
সূত্র-দৈনিক সংবাদপত্র