জাতীয়বরিশাল বিভাগসারাদেশ

চালু হচ্ছে বরিশাল-চট্টগ্রাম যাত্রীবাহী স্টিমার

Share this:

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল-ভোলা-হাতিয়া-চট্টগ্রাম উপকূলীয় নৌপথে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি যাত্রীবাহী নৌযান সংগ্রহরে পরে আগামী আগস্টে যাত্রী পরিবহন শুরু হতে যাচ্ছে। ফলে প্রায় ১০ বছর পরে দেশের একমাত্র উপকূলীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিসটি পুনর্বহাল হতে যাচ্ছে। নতুন এ সার্ভিসের মাধ্যমে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর ছাড়াও বিচ্ছিন্ন জেলর ভোলা এবং দ্বীপ উপজেলা হতিয়া সরাসরি নিরাপদ নৌযোগাযোগে সংযুক্ত হবে ।

নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪ বছর পরে সম্প্রতি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটসি) বহরে ‘এমভি তাজউদ্দিন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নামের এ দুটি উপক’লীয় নৌযান যুক্ত হয়েছে। এসব নৌযানের পাশাপাশি ২০০২ সালে চীন থেকে সংগ্রহ করা ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামের নৌযানটির পুনর্বাসন কাজও আগামী মাসের মধ্যে শেষ হলে এসব নৌযানের মাধ্যমে সপ্তাহে অন্তত ৩দিন বরিশাল-ভোলা-হাতিয়া-চট্টগ্রাম রুটে উপক’লীয় যাত্রীবাহী সার্ভিসটি চালু হবে বলে সংস্থাটির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান শিপিং করপোরেশন পশ্চিম জার্মেনী থেকে সংগ্রহ করা ৪টি নৌযানের সাহায্যে বরিশাল-নারায়গঞ্জ ও বরিশাল-হাতিয়া-সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম রুটি উপক’লীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিস চালু করে। ওই সব নৌযানের মধ্যে ‘এমভি মনিরুল হক’ ও ‘এমভি আবদুল মতিন’ ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে পুনর্বাসনও করা হয় ।

কিন্তুব্যপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ওই সব নৌযান খুব বেশি দিন নির্বিঘ্নে চলেনি। ফলে ২০১১ সালের মাধ্যভাগ থেকে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলীয় সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যায়। ইতোমধ্যে ২০০২ সালে সংগ্রহ করা ‘এমভি বার আউলীয়া’ নৌযানটির কারিগরি ও যান্ত্রিক ত্রুটি শুরু হয় ।
পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উপকূলীয় নৌ যোগাযোগ নির্বিঘ্নে করার লক্ষে উপকূলীয় নৌপথের জন্য ৭’শ ও ৫’শ যাত্রী ধারণ ক্ষমতায় দুটি উপকূলীয় নৌযান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ এ দুটি নৌযান নির্মাণ প্রকল্প একনেক এর চুড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। এর প্রায় এক বছর পরে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর ৭’শ যাত্রী বহনক্ষম উপকূলীয় নৌযানটি নির্মার্ণের লক্ষে বিআইডব্লিউটসি’র সাথে ‘থ্রি এ্যাংগেল মেরিন লিমিটেড এন্ড দি কুমিল্লা শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড জেভি’র সাথে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *