বরিশালের গ্রামাঞ্চলে জ্বরের প্রাদুর্ভাব ॥ নমুনা দিতে অনীহা
বরিশাল ব্যুরো : জেলার প্রতিটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের গত এক সপ্তাহ থেকে প্রায় ঘরে জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সামান্য করোনা উপসর্গ থাকলেও তারা তা আমলে নিচ্ছেন না। গ্রামের পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনায় পজেটিভ আসলে তখন পুরো পরিবার নিয়ে আইসোলেশনে থাকতে হবে। এমনকি বাড়িটি লকডাউনও ঘোষণা করতে পারেন সংশ্লিষ্টরা। এতে দৈনন্দিন কাজ-কর্ম নিয়ে বিপাকে পরার ভয়ে অনেকেই নমুনা পরীক্ষায় অনীহা করেন ।
সূত্রমতে, গত এক সপ্তাহ থেকে ঠান্ডাজনিত সর্দি ও জ্বর এখন উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ছড়িয়ে পরেছে। করোনার উপসর্গ থাকলেও ভয়ে জ্বর কিংবা সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নমুনা দিতে আগ্রহ নন। তবে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাড়া ও মহল্লার দোকানগুলোতে। ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে গ্রামগঞ্জের পাড়া ও মহল্লায় ।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলেই করোনা হয়েছে এমনটা নয়। তবে এটি করোনার একটা নমুনা হওয়ায় সাধারণ জনগনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়াটাও স্বাভাবিক ।
তাই নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সকলের জন্য মঙ্গল। তিনি আরও বলেন, সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে এন্টিজেন টেস্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ টেস্টের ফলে রোগীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দিতে সুবিধে হয়। বরিশালে করোনা সংক্রমরে হার এখন বেশি থাকলেও সে তুলনায় এন্টিজেন টেস্ট হচ্ছে কম ।
তিনি বলেন, মহামারি করোনা মোকাবেলায় প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এছাড়া উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা বা ভয় না পেয়ে নমুনা দিতে হবে। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব বলেও তিনি (সিভিল সার্জন) উল্লেখ করেন ।