মানবিক পুলিশ এস.আই শাহিন সরদার
বরিশাল জেলার ঐতিহ্যবাহী টরকী বন্দর।এখানে জনসংখ্যা প্রায় অন্যসব ছোট শহরের মতই। স্কুল মাদ্রাসা মিল ফ্যাক্টরিতে ভরপুর। পুরো মাত্রায় একটি ব্যবসায়ী স্থল। এটি জেলার গৌরনদী থানা পাশ্ববর্তী এলাকা।পুরো বন্দরের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে একটি পুলিশ ফাড়ি।
এ কথা সবারই জানা তবে যেটা অজানা তা হচ্ছে এই পুলিশ ফাড়ির সৌন্দ্যর্য বৃদ্ধির এক অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন ফাড়ির ইনচার্জ এস.আই(সশস্ত্র) মোঃ শাহিন সরদার।সরজমিনে গিয়ে ফাড়ির সামনে লক্ষ্য করা গিয়েছে বেশকিছু ফলজ গাছ, ফুলগাছ,এবং সব্জী বাগান করা হয়েছে।তবে এসব কর্ম এর আগে টরকী বন্দরের পুলিশ ফাড়িতে চোখে পরেনি সাধারণ মানুষের। এবারই প্রথম দেখলেন স্থানীয়রা।

এই নতুন উদ্যেগের ব্যাপারে কথা হয় টরকী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস.আই(সশস্ত্র) মোঃ শাহিন সরদার ডেইলি বাংলাদেশ টাইম কে বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বৃক্ষপ্রেমী, সেই কলেজ জীবন থেকেই আমি বৃক্ষরোপন করি। তবে এরমধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দের ফলজ গাছ। আমার সার্ভিস জীবনে আমি সবস্থানেই বৃক্ষরোপন করেছি।আমার বাড়ী পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানা।সেখানেই অবস্থিত ছিল কৃষি কলেজ যেটি বর্তমানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আমি মূলত সেখান থেকেই বৃক্ষরোপন করা দেখি আর আমি উৎসাহিত হই।
আজ ফাড়িতে বৃক্ষরোপন করেছেন! এই রোপন কার্যক্রম কি কোনো সরকারি অনুদান হতে? জানতে চাইলে তিনি বলেন,আসলে রোপন কার্যক্রম আমার নিজ অর্থায়নে থেকেই। এর আগে আমি মিরপুর পুলিশ লাইন, পিরোজপুর পুলিশ লাইন,খুলনা জেলা পুলিশ লাইন,এবং থানা ভিত্তিক পুলিশ ফাড়ির অংশে বিভিন্ন চারাগাছ রোপন করেছি। আমরা অক্সিজেন পাই গাছ থেকে, গাছের তুলনা হয়না সকলের উচিত বৃক্ষরোপন করা।প্রতিটি নাগরিকদের দায়িত্ব বৃক্ষরোপনে নিজেকে সামিল রাখা।

সবশেষে আমি এটাই বলতে চাই, আমার যারা পুলিশ ভাইবোনেরা আছেন তাদের আমি অনুরোধ করব যেন তারাও নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপন করেন এবং অন্যকে বৃক্ষরোপনে উৎসাহিত করেন।
একই ফাড়ির সহকারী ইনচার্জ (এ.এস.আই সশস্ত্র) মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন,বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন দরকার আমাদের আর এই অক্সিজেনের সিংহভাগ আসে গাছপালা তরুলতা থেকে।আজ আমার সিনিয়র স্যারের সাথে আমিও এই রোপন কার্যক্রমে নিজেকে রাখতে পেরে খুবই আনন্দিত। সবারই উচিত বেচে থাকার জন্য বৃক্ষরোপন করা। এমন সবুজছায়া অব্যাহত থাকুক অবিরাম।