নাটকবিনোদন

ফেরারী অমিতের ‘বউ হবে প্রতিবেশী’

Share this:

নেহাল ও নিধীর প্রায় দুই বছরের দাম্পত্য জীবন। নানা রকম টানা পোড়েনের মধ্যে ভালোই কাটছিল তাদের সংসার। বেশ কিছুদিন ধরে নেহালের মেরুদণ্ডে ব্যাথা করছে। ব্যাথা বাড়লেই সে পেইন কিলার খায়। অফিসের কলিগ সায়মা নেহালকে ভালো ডাক্তার দেখাতে বলে। সামান্য ব্যাথার জন্য ডাক্তার দেখাতে চায় না নেহাল। তাই অনেক দিনের পুরোনো ব্যাথাটাকে সে বহন করে চলছে। ব্যথা বাড়তে থাকলে নেহাল একদিন ডাক্তার দেখায়।

নানা রকম টেস্ট করায়। দাম্পত্যের টুকটাক সমস্যা ধীরে ধীরে কলহে পরিণত হতে থাকে। ডাক্তার দেখানোর পর নেহালের মনও ভালো থাকেনা। দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে। স্ত্রী নিধীর প্রতি তাঁর ভালোবাসা কমতে থাকে অথবা ইচ্ছা করেই কমাতে থাকে। শুধুতাই নয় স্ত্রীর কোনো কিছুই তার আর ভালো লাগেনা। সারাক্ষণ
ঝগড়া করে। স্ত্রীকে তার অসহ্য ও বিরক্তি কর মনে হয়। সুরমাও স্বামীর এমন ব্যবহার মেনে নিতে পারেনা। সেও নেহালের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়।


একদিন হঠাৎ নিধীর বাসায় এসে হাজির হয় তাঁর পুরোনো প্রেমিক সজল। সজলের উপস্থিতি নিধীর কাছে বিব্রতকর ও অস্বস্তিকর মনে হয়। বাসায় এসেছে বলে সৌজন্যতাবশত কথা বলে। পরবর্তীতে অমিতের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এদিকে স্বামী নেহালের অবহেলাও চরমে পৌঁছায়। নিজের মনের কথা স্বামীর সঙ্গে বলতে না পেরে সজলের কাছে বলে কিছুটা হালকা হয় নিধী।
পিঠের ব্যথা এবং দাম্পত্য জীবন নিয়ে নেহালের বিষণèতা বাড়ে। অফিসে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারেনা। অফিস কলিগ সায়মা মাঝে মাঝেবিষণè নেহালকে সঙ্গ দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়।
একদিন ঘটককে ডেকে সজলকে দেখানোর জন্য একটা ছবি দেয়। ছবিটা তার বউ নিধী।


সজলের অসুস্থ্য মা মৃত্যুর আগে পুত্র বধুর মুখ দেখে যেতে চান, তাই সময়ে – অসময়ে, কারণে – অকারণে বিয়ের কথা বলে। ঘটকের মাধ্যমে পাত্রী খোজেন, ঘটনাক্রমে এই ঘটককে দিয়েই নেহাল নিধীর জন্য ভালো পাত্র খেঁাজে। ঘটকের হাত হয়ে সজলের মা’র কাছে আসে নিধীর ছবি, মেয়ে পছন্দ হয় মায়ের, সে ছবি টা দেখার জন্য দেয় সজলের কাছে, পাত্রী দেখে সজল বিস্মিত হয়। বিষয়টা জানতে সজল এসে নেহালের সঙ্গে দেখা করে। নেহালের কাছ থেকে সজল সব কথা শোনে। রাজি হয় সে। নিধরি সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা বাড়ে। কিছুদিন পর অফিস থেকে ফিরে নিধীর সাথে
নেহালের প্রচন্ড ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সে নিধীকে চড় মারে। নিধী সেই রাতেই বাড়ি ছেড়ে সজলের বসায় যায়। সজল তাকে বাসায় চলে যেতে বলে। কিন্তু যে তার গায়ে হাত তুলেছে নিধী তার কাছে যাবেনা বলে জানায়। তখন সজল নিধীকে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য দেয় – নেহাল স্পাইনাল ক্যান্সারে আক্রান্ত।

লাস্ট স্টেজ। সজলের কথা শুনে নিধী দ্রুত চলে আসে, সঙ্গে সজলও আসে। ততক্ষণে নেহাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। তবে মৃত্যুর আগে একটা ডায়েরি লিখে গিয়েছে। নিধী তা থেকে জানতে পারে- নেহাল বুঝতে পেরেছিল সে আর বেশি দিন বাঁচবে না। সজল তাকে এখনো পছন্দ করে, তাই সে মারা যাবার আগে সজলের সঙ্গে তার বিয়ের ব্যবস্থা করে যায়।বাকি গল্পটুকু দেখতে ও শুনতে চাইলে অপেক্ষা করতে হবে। চোখ রাখতে হবে স্যাটেলাইট চ্যানেলের উপর। ‘বউ হবে প্রতিবেশী’ এমনি নামের একটি নাটক আসছে।

নাট্যকার কুমার অরবিন্দ গল্পের ছোঁয়ায় এটি চিত্রনাট্য ও নির্মাণ করেন ফেরারী অমিত।নাটকের প্রসঙ্গে ডেইলি বাংলাদেশ টাইম কে ফেরারী অমিত বলেন,নাটকের গল্পটি একদমই গতানুগতিক ধারার বাহিরে এবং এমন গল্পের পান্ডুলিপি এই ভাড়ামীর সস্থা বিনোদনের যুগে ডাইনোসর এর ইতিহাস বলা যায়।চমৎকার একটি কাজ করলাম। গত সপ্তাহে ক্যামেরা ক্লোজ করেছি। বেশ কিছু নতুন মুখ রয়েছে চরিত্রের প্রয়োজনে। আশা করছি সবারই ভালো লাগবে। শিগগিরই অবমুক্ত করা হবে।

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন শেলী আহসান, নেহাল শাহাদাত সৈকত ( নতুন মুখ ),নিধী শারমিন আঁখি,সজল শিশির আহমেদ
,এবং অন্যান্য চরিত্রে টেলিভিশন মাধ্যমের জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পীগণ।নাটকটি প্রযোজনা করছেন ফিল্মস স্টেশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *