এম সালামের আলো মহল পেলো শ্রেষ্ঠ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পুরস্কার
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ব্যবস্থাপক সমিতির বর্তমান সভাপতি এম সালাম। দীর্ঘ যুগ ধরেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসিতে। তিনি ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন দেশে বিদেশি বহু সিনেমায়।
তবে, তার বহুল আলোচিত পরিচিতি হচ্ছে তিনি একটি ইভেন্ট কোম্পানির মালিক। তার পরিচালনায় পরিচালিত হচ্ছে দেশের জনপ্রিয় ‘আলো মহল স্টুডিও ‘। ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কাজ করে। তার এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টর মধ্যে দিয়ে তিনি কর্মস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন অনেকেরই।
উপরের সব খবরই কারোরই অজানা নয় তবে খবরের শিরোনাম দেয়ার মত খবর হচ্ছে এবার তিনি তার কাজের পুরস্কৃত হলেন।
২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) অ্যাওয়ার্ডের ২৭ তম আসরে চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পুরস্কার পেয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ব্যবস্থাপক সমিতির বর্তমান সভাপতি ও দেশের জনপ্রিয় ‘আলো মহল স্টুডিও’ কর্ণধার এম সালাম গণমাধ্যমে বলেন, এই পুরস্কার আমার জীবনে আরো একটি সেরা প্রাপ্তি। এই প্রাপ্তি আমার কাজ ও কাজের মানকে বাড়িয়ে দিবে আরো। ধন্যবাদ জানাই আমাকে পুরস্কৃত করার জন্য। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
মোট ১৩টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্নগুণীজনকে সম্মানিত করা হয় এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে।
এসময় বিভিন্নক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পাঁচজনকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা। এতে সাংবাদিকতায় আজীবন সম্মাননা পান বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, প্রকৃতিতে মুকিত মজুমদার, সমাজ উন্নয়নে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও শিক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হামিদা খানম।
এগুলো সহ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শতাধিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান কে সম্মাননা প্রদান করে ট্রাব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ট্রাব অ্যাওয়ার্ড নিয়ে বলেন, গুণীজনদের সম্মান দেখানো না হলে নতুন গুণীজন সৃষ্টি হয় না। আমরা একটি বহুমাত্রিক সমাজে বসবাস করি, যেখানে কৃষ্টি সংস্কৃতিতে আমরা অনেক এগিয়ে। সংস্কৃতিতে আমরা বিশ্বের অনেক দেশের থেকে উন্নত। ভারতবর্ষের একজন বাঙালি হয়ে এদিক থেকে আমরা গর্বিত।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র আর্থিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি তার আত্মিক উন্নয়ন প্রয়োজন। সেজন্যে আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে যারা সামনে এগিয়ে নিচ্ছেন, তাদের সম্মানিত করা প্রয়োজন।