অরুণ হালদার জানান, স্থানীয় হাট বাজারের এলাকায়
গ্রামের নারী পুরুষ মিলিয়ে তৈরি করছেন বাঁশের তৈজসপত্র।বাঁশ
শিল্পের কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের পুরুষরা বিভিন্ন বাগান
থেকে ভালো ও লম্বামানের বাঁশ সংগ্রহ করে। পরে সেই বাঁশ প্রথমে চেঁছে
পণ্যের আকার অনুযায়ী কেটে নেয়। কেটে নেয়া অংশ থেকে বাঁশের পাতলা ও চিকন
চাঁচ তৈরি করে তা দিয়ে ডালা, কুলা, চালুনসহ বিভিন্ন কিছু তৈরি করে। একজন
কারিগর দিনে ৪ থেকে ৫টি বড় মাপের ডালি তৈরি করতে পারে। পাইকারদের কাছে এই
ডালা বিক্রি করেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে। আর খোলা বাজারে এই ডালা বিক্রি হয়
১০০ থেকে ১২০ টাকা।আগৈলঝাড়া এলাকার বাসিন্দা আজিজুল
ইসলাম জানান, বাঙালির ঐতিহ্য এসব পণ্য এখনো এলাকার ঘরে ঘরে ব্যবহার হয়ে
আসছে। বাঁশের তৈরি বাহারি পণ্যও বেচাকেনা হয়ে থাকে ভালো।
বাঁশ
শিল্পের ব্যবসায়ী আবু আব্দুল্লাহ জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা শুরু
করছেন। প্রতি হাটে ৭-৮ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেন। এছাড়াও গ্রামের হাট
বাজারে বাঁশের তৈরি এসব পণ্য বিক্রি করেন। তাতে তার ভালো আয় হয়। গড়ে মাসে
তিনি অর্থ লক্ষ্য টাকার পণ্য বিক্রি করেন।
হাটের
আরেক ব্যবসায়ী মো. জাকারিয়া জানান, ধাপের হাটে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বাঁশের
তৈরি পণ্যের ব্যবসা করছেন। এখানে প্রতিটি পণ্য যেমন- প্রতি পিস ডালা বিক্রি
হয় ৭০ টাকা, কুলা ১০০ টাকা, চালুন ৮০ টাকা, ডালি ১০০ টাকা, ঝাঁপি ৪০ টাকা
থেকে ১০০ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এই হাটে প্রচুর ক্রেতা আসেন।
তারা তাদের চাহিদামতো পণ্য কিনে থাকেন।
রাংতা
ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান আমার পরিবারে সারা বছরই বাঁশের
তৈরি পণ্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে প্লাস্টিকের পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে।
আমাদের স্বার্থেই পরিবেশবাধন্ধব এই শিল্পকে ধরে রাখতে হবে।