আগৈলঝাড়ায় প্রায় হারিয়ে যাওয়া কুটির শিল্পকে আঁকড়েই চলে প্রতুলের সংসার
আহাদ তালুকদার, প্রতিনিধি, আগৈলঝাড়া, (বরিশাল)- আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে থাকা বাঁশ শিল্পকে আঁকড়ে ধরে এখনো জীবন ধারণ করছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার অর্ধশতাধিক পরিবার। বাঁশ থেকে তৈরি ডালা, কুলা, চালুন, খইচালা, জালি, ঝাপনি, চাঙ্গারি, বাচ্চাদের ছোট কুলাসহ হরেক রকমের পণ্য হাটে হাটে বিক্রি করে নিজেদের যেমন বাঁচিয়ে রেখেছেন, ঠিক তেমনি দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে টিকিয়ে রেখেছেন পরিবারগুলো।
বাঁশ বিক্রেতা মো আবুল হোসেন ডেইলি বাংলাদেশ টাইমকে বলেন, আমাদের বাঁশ বিক্রি নেই বল্লেই চলে। এখন মানুষ পাঁকা বাড়ির প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। তাই বাঁশ ব্যবহার দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। সবুজ কালারের বাঁশ এখন শুকিয়ে সাদা হয়ে নষ্ট হওয়ার পথে। বর্তমানে দিনে হাজার টাকাও বিক্রি করা কষ্ট হয়ে যায়। আগে দিনপ্রতি বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকাও বিক্রি করেছি।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আগৈলঝাড়া উপজেলা থানা সংলগ্ন বাঁশের তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করছে বিক্রেতা প্রতুল, তিনি জানান, অতীতে গ্রামে-গঞ্জে বাঁশের তৈরি পণ্যসামগ্রীর কদর ছিল অনেক। এসব পণ্য শোভা পেত প্রত্যেক বাড়িতে। অতীতে তৈরি তৈজসপত্রই ছিল সংসারের মূল ভরসা। কিন্তু কালক্রমে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাঁশ শিল্পে ভাটা পড়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের ছোয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁশ শিল্প।কিন্তুপূর্ব পুরুষের ব্যবসাকে এখনো ধরে রেখেছেন জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পূর্ব বাকাল ২ নং ওয়ার্ডের প্রতুল বাকছি,গৈলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের অরুণ
হালদার সহ আরো অনেকেই।বিক্রেতা
হালদার সহ আরো অনেকেই।বিক্রেতা
অরুণ হালদার জানান, স্থানীয় হাট বাজারের এলাকায়
গ্রামের নারী পুরুষ মিলিয়ে তৈরি করছেন বাঁশের তৈজসপত্র।বাঁশ
শিল্পের কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের পুরুষরা বিভিন্ন বাগান
থেকে ভালো ও লম্বামানের বাঁশ সংগ্রহ করে। পরে সেই বাঁশ প্রথমে চেঁছে
পণ্যের আকার অনুযায়ী কেটে নেয়। কেটে নেয়া অংশ থেকে বাঁশের পাতলা ও চিকন
চাঁচ তৈরি করে তা দিয়ে ডালা, কুলা, চালুনসহ বিভিন্ন কিছু তৈরি করে। একজন
কারিগর দিনে ৪ থেকে ৫টি বড় মাপের ডালি তৈরি করতে পারে। পাইকারদের কাছে এই
ডালা বিক্রি করেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে। আর খোলা বাজারে এই ডালা বিক্রি হয়
১০০ থেকে ১২০ টাকা।আগৈলঝাড়া এলাকার বাসিন্দা আজিজুল
ইসলাম জানান, বাঙালির ঐতিহ্য এসব পণ্য এখনো এলাকার ঘরে ঘরে ব্যবহার হয়ে
আসছে। বাঁশের তৈরি বাহারি পণ্যও বেচাকেনা হয়ে থাকে ভালো।
গ্রামের নারী পুরুষ মিলিয়ে তৈরি করছেন বাঁশের তৈজসপত্র।বাঁশ
শিল্পের কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের পুরুষরা বিভিন্ন বাগান
থেকে ভালো ও লম্বামানের বাঁশ সংগ্রহ করে। পরে সেই বাঁশ প্রথমে চেঁছে
পণ্যের আকার অনুযায়ী কেটে নেয়। কেটে নেয়া অংশ থেকে বাঁশের পাতলা ও চিকন
চাঁচ তৈরি করে তা দিয়ে ডালা, কুলা, চালুনসহ বিভিন্ন কিছু তৈরি করে। একজন
কারিগর দিনে ৪ থেকে ৫টি বড় মাপের ডালি তৈরি করতে পারে। পাইকারদের কাছে এই
ডালা বিক্রি করেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে। আর খোলা বাজারে এই ডালা বিক্রি হয়
১০০ থেকে ১২০ টাকা।আগৈলঝাড়া এলাকার বাসিন্দা আজিজুল
ইসলাম জানান, বাঙালির ঐতিহ্য এসব পণ্য এখনো এলাকার ঘরে ঘরে ব্যবহার হয়ে
আসছে। বাঁশের তৈরি বাহারি পণ্যও বেচাকেনা হয়ে থাকে ভালো।
বাঁশ
শিল্পের ব্যবসায়ী আবু আব্দুল্লাহ জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা শুরু
করছেন। প্রতি হাটে ৭-৮ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেন। এছাড়াও গ্রামের হাট
বাজারে বাঁশের তৈরি এসব পণ্য বিক্রি করেন। তাতে তার ভালো আয় হয়। গড়ে মাসে
তিনি অর্থ লক্ষ্য টাকার পণ্য বিক্রি করেন।
শিল্পের ব্যবসায়ী আবু আব্দুল্লাহ জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা শুরু
করছেন। প্রতি হাটে ৭-৮ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেন। এছাড়াও গ্রামের হাট
বাজারে বাঁশের তৈরি এসব পণ্য বিক্রি করেন। তাতে তার ভালো আয় হয়। গড়ে মাসে
তিনি অর্থ লক্ষ্য টাকার পণ্য বিক্রি করেন।
হাটের
আরেক ব্যবসায়ী মো. জাকারিয়া জানান, ধাপের হাটে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বাঁশের
তৈরি পণ্যের ব্যবসা করছেন। এখানে প্রতিটি পণ্য যেমন- প্রতি পিস ডালা বিক্রি
হয় ৭০ টাকা, কুলা ১০০ টাকা, চালুন ৮০ টাকা, ডালি ১০০ টাকা, ঝাঁপি ৪০ টাকা
থেকে ১০০ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এই হাটে প্রচুর ক্রেতা আসেন।
তারা তাদের চাহিদামতো পণ্য কিনে থাকেন।
আরেক ব্যবসায়ী মো. জাকারিয়া জানান, ধাপের হাটে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বাঁশের
তৈরি পণ্যের ব্যবসা করছেন। এখানে প্রতিটি পণ্য যেমন- প্রতি পিস ডালা বিক্রি
হয় ৭০ টাকা, কুলা ১০০ টাকা, চালুন ৮০ টাকা, ডালি ১০০ টাকা, ঝাঁপি ৪০ টাকা
থেকে ১০০ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এই হাটে প্রচুর ক্রেতা আসেন।
তারা তাদের চাহিদামতো পণ্য কিনে থাকেন।
রাংতা
ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান আমার পরিবারে সারা বছরই বাঁশের
তৈরি পণ্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে প্লাস্টিকের পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে।
আমাদের স্বার্থেই পরিবেশবাধন্ধব এই শিল্পকে ধরে রাখতে হবে।
ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান আমার পরিবারে সারা বছরই বাঁশের
তৈরি পণ্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে প্লাস্টিকের পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে।
আমাদের স্বার্থেই পরিবেশবাধন্ধব এই শিল্পকে ধরে রাখতে হবে।