বিনোদন

বাসায় আছি পরিবারকে সময় দিচ্ছি-তানিন সুবাহ

Share this:

বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ।কারণে অকারণে বার বার এসেছে খবরের শিরোনামে।সর্বশেষ জাকির হোসনে রাজু পরিচালিত ছবি ‘ভালো থেকো’ ছবিতে অভিনয় করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন এই দেমাগ কন্যা।তার ব্যাস্ততা ও সমসাময়িক ব্যাস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন ডেইলি বাংলাদেশ টাইম এর সাথে।

ঘরবন্দি সময় কাটছে কেমন ?

তানিন সুবাহ -এই যে আছি বাসায় দীর্ঘদিন ধরেই কোথাও যাচ্ছিনা মাঝে মাঝে বেশি দরকার হলে বের হতে হয়।এছাড়া এতদিন এর আগে বাসায় থাকা হয়নি তাই লম্বা সময়টা নিজের পরিবারের সাথে কাটাচ্ছি।সময় কেটে যাচ্ছে টিভি দেখি সিনেমা দেখি বাসায় টুকিটাকি কাজ করি বই পড়ি।

শুটিং শুরু হয়েছে আপনি করবেন এই মুহূর্তে ?

তানিন সুবাহ-দেশের যা অবস্থা তাতে করে তো কোনো কাজ করতে ভয় লাগছে।কিন্তু তারপরও বসে থাকলে তো চলবে না কাজ তো করতেই হবে।স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং দুরুত্ব মেনে কাজ করা যেতে পারে এবং রোমান্টিক সিন্গুলো হয়তো করতে সমস্যা হতে পারে।দেখি কি হয় একটু সময় নিচ্ছি অনেকেই শিডিউল দেয়া আছে তারা যদি নিয়ম মেনে কাজ করে তাহলে করবো।

বন্দি অবস্থায় বিশেষ কাজগুলো কি করলেন ?

তানিন সুবাহ-রমজান মাস ছিল রোজা রেখেছি নামাজ পড়েছি আর আগে অসহায় মানুষদের জন্য খাবার বিতরণ করেছি।এছাড়াও নিজের কিছু কাজ ছিল সেগুলো করলাম।এর একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খুলবো ভাবছি কারণ এই মুহূর্তে ফিল্মের অবস্থা খুব ভালো নয় তাই চেষ্টা করবো সবাই মাইল কিছু কাজ করার।

এই সময় সহশিল্পীদের খোঁজ নিয়েছেন ?

তানিন সুবাহ-হা যতটুকু সম্ভব নিয়েছি কারণ এই অবস্থায় সবার খবর নেয়াটা দরকার।অনেক কাছের মানুষদেরও খোঁজ নিয়েছি যদি কোনো সমস্যা আছে কিনা তাও জেনেছি।

এই মুহূর্তে ফিল্ম ইন্ড্রাস্টি চাঙ্গা করতে হলে করণীয় কি ?

তানিন সুবাহ-দেখুন ফিল্মের অবস্থা অনেকদিন যাবতই ভালো নয় তারপর আবার হলের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।এই মুহূর্তে আমাদের মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী যদি একটু খেয়াল করেন এবং অনুদান করেন ফিল্ম নির্মাণের জন্য পরিচালক এবং প্রযোজকদের তাহলে হয়তো এই খারাপ মুহূর্তটা পার করা সম্ভব হতে পারে।সাথে সাথে ভালো কন্টেন্ট ও গল্পের দিকে খেয়াল করতে হবে এবং হলের সংখ্যা বাড়াতে হবে।এবং যদি কর্পোরেট কোম্পনিগুলো এদিকে ইনভেস্ট করেন তাহলে হয়তো আরো একটু এগিয়ে যাবে।

শেষ কি বলবেন ?

তানিন সুবাহ -সবাই ঘরে থাকুন এবং খুব বেশি দরকার না হলে বের হবেননা নিজের পরিবার এবং নিজের স্বাস্থ্য সচেতনতা রাখুন।স্বাস্থ্য সংস্থা গুলোর পরামর্শ এবং সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের বিধি গুলো মেনে চলুন।

ঢাকা/আরিয়ান অপু/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *