ঋতুপর্ণ’হীন ১২ বছর
(সিনিয়র রিপোর্টার -সোয়েব সিকদার)-ঋতুপর্ণ ঘোষ ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক। অর্থনীতির ছাত্র ঋতুপর্ণ ঘোষের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে। ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা ‘হীরের আংটি’। দ্বিতীয় সিনেমা ‘উনিশে এপ্রিল’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। এই সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পান।
ঋতুপর্ণ ঘোষ ছিলেন সত্যজিৎ রায়ের অনুরাগী। দুই দশকের কর্মজীবনে তিনি বারোটি জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ৩০ মে কলকাতায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
১৯৬৩ সালের ৩১ অগস্ট কলকাতায় ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্ম। তার বাবা-মা উভয়েই চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাবা সুনীল ঘোষ ছিলেন তথ্যচিত্র-নির্মাতা ও চিত্রকর। ঋতুপর্ণ ঘোষ সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডিগ্রি অর্জন করেন।
ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রথম অভিনয় করেন ওড়িয়া সিনেমা কথা দেইথিল্লি মা কু-তে। হিমাংশু পারিজা পরিচালিত এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। ২০১১ সালে তিনি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’ এবং সঞ্জয় নাগের ‘মেমরিজ ইন মার্চ’ সিনেমায় অভিনয় করেন। ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’ সিনেমার বিষয় ছিল সমকামিতা।
ঋতুপর্ণের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘চিত্রাঙ্গদা’। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রাঙ্গদার কাঠামো অবলম্বনে নির্মিত। এটি ৬০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ জুরি পুরস্কার পায়। ২০১৩ সালের ৩০ মে তার কলকাতার বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যু ঘটে