নাগরপুরে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর স্ত্রীর উপর হামলা, আসামির জামিন
জেলা প্রতিনিধি -টাংগাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার মামুননগর (পুর্বপাড়া) গ্রামের রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসী মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়ার স্ত্রীর (মারিয়া আক্তার) উপরে গত ১২ জুন কিছু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী আক্রমণ করে। ঘটনার দিন জানা যায় ভুক্তভোগী মারিয়া আক্তার নিজেদের জমিতে ধান কাটা দেখতে যায়। পরে জমিতে অবস্থায় তাকে আওয়ামীলীগের সমর্থকরা জমিজমার বিষয়ে সবুজ সংঘ নামক ক্লাব ঘরে যেতে বলে। সেখানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জনালে এক পর্যায়ে চলে আসে আওয়ামী সমর্থক এক দল সন্ত্রাসী গ্রুপ।

তারা হলেন, আকবর (৪৫),আখতার হোসেন (৪০),মাহিয়াত মিয়া(২২),আহাদুল (২০) সহ আরো অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন। সেই চার পাচঁ জন মারিয়া আক্তার ও তার মেয়ে মিম আক্তারের চুড়ি গলার চেইন ও কিছু স্বর্ণ অলংকার জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তী মা ও মেয়ের চিৎকারে শুনে পাশে ধান ক্ষেতের কাজ রেখে ভুক্তভোগীর আপন দুই ভাই শওকত ও লিটন ঘটনা স্থানে আসে। প্রতিরোধ করতে গেলে মামুননগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা অহিদুল ইসলামের নির্দেশে তার দলবল বাঁশ,রড ও দেশী অস্ত্র দিয়ে মারিয়া আক্তার তার মেয়ে ও শওকত, লিটনকে মারধর করেন।এক পর্যায়ে মারধর করা অবস্থায় গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে সেই সন্ত্রাসীরা তাদের মাঠের পাশে ফেলে রেখে যায়।

ঘটনা শেষকালে গ্রামের মানুষদের ডেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে বল প্রয়োগ এবং পাশাপাশি এই বিষয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করে।
ঘটনার পর স্থানীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মামলার জন্য নাগরপুর থানায় গেলে, বেশ কয়েকদিন ঘুরানোর পর মামলা নেওয়া হয়। যার মামলার নং ১৩১৯।
পরবর্তী মামলা হলেও ছাত্রলীগের নেতার আপন বড় ভাই (LABEL TAG BANGLADESH) এর সিইও ওয়াসিম শিকদার শফিকুল লাখ টাকার বিনিময়ে আসামির তালিকা থেকে নিজের নাম কাটিয়ে নেয় বলে জানা যায়। সেই সাথে প্রধান আসামী অহিদুল ইসলাম, যিনি ছিলেন মামুনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক।তদন্ত চলাকালীন সময়ে আসামী গ্রেফতারের আগে এবং সকল আসামী এই মামলা থেকে আগাম জামিন পান।
জামিন বহালের পর তারা দিব্যি গ্রামে ঘোরাঘুরি করছেন যেটি করে গ্রামের মধ্যে ও ভুক্তভোগীদের মধ্যে আলাদা করে ভয় চাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে ভুক্তভুগী মারিয়া আক্তার তার আহত ও দুই ভাই এবং তার দুই ছোট সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীন দিন পার করছেন। আর জামিনে বের হয়েই বিভিন্ন হুমকি প্রতিনিয়ত আসামীরা দিয়েই যাচ্ছে।

ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে কথা হলে তিনি জানান,আওয়ামী লীগের ডোনার ওয়াসিম শিকদার শফিকুল ও ছাত্রলীগের নেতা অহিদুল ইসলামে ও তার বাহিনীর এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কি দেশের বিচার ব্যাবস্থা ও আইন শৃংখলার উপর প্রশ্ন তুলে না?
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনা সমাজের শান্তি ও আইন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিশেষে এই ঘটনায় প্রশাসন, বিচার বিভাগ কেন ছাত্রলীগের এই ইউনিয়ন আহবায়ক এর টাকার কাছে নাজেহাল এই প্রশ্ন আপনাদের সামনে রেখে গেলাম?

