বরিশাল বিভাগ

আমার নামে ভিত্তিহীন খবর রটানো হচ্ছে – বদিউজ্জামান মিন্টু

Share this:

(জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক- সোয়েব সিকদার,অরণ্য)-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (সংক্ষেপে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিএনপি) হলো বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র-ডান থেকে ডানপন্থী রাজনৈতিক দল। তৎকালীন জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাচীন এই রাজনৈতিক সংগঠন এর ইতিহাস বেশ লম্বা। সারাদেশ জুড়েই রয়েছে তাদের বহু ত্যাগী নেতাকর্মী। আর তাদেরও রাজনৈতিক ইতিহাস বেশ পুরাতন। বিভাগীয় শহর কিংবা মফস্বলেও বিএনপির জনপ্রিয়তা শীর্ষে। গত ২০ বছর ধরে রাজনৈতিক সংকটে ছিল বাংলাদেশ। গেলো ১৭ বছর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপির প্রচুর নেতাকর্মীদের খুন, গুম, হয়রানি করেছেন দলটি। দেশের নানা প্রান্তে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে রেখেছিল ফ্যাসিবাদী সরকার। ক্রান্তিলগ্নে ও বিএনপি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন এবং নেতাকর্মীরা শত নির্যাতন সহ্য করে মাঠে ছিলেন।

শত নির্যাতন সহ্য করা নেতাকর্মীদের মধ্যে একজন রয়েছেন বর্তমান গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু। বরিশালে যেসব বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছেন ফ্যাসিবাদের সরকার তারমধ্যে বদিউজ্জামান মিন্টু অন্যতম। দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশী রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার নির্যাতিত ও কারাবরণ করেছেন তিনি। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বারবার আক্রমণ ও হত্যার চেস্টা করেছে তাকে। এসব নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও খবর এসেছে। বহু ত্যাগ স্বীকার করা এই পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির গৌরনদী উপজেলায় রয়েছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। গৌরনদী বিএনপির রাজনীতির আকাশে বদিউজ্জামান মিন্টু একটি তাঁরার নাম।

স্থানীয় নেতাকর্মী ও দলের ছোট ও বড়দের কাছে তার রয়েছে অন্যতম ভালোবাসা। বিপদে- আপদে সবচেয়ে যে নামটি পাশে পেয়েছে সবাই তার বদিউজ্জামান মিন্টু।

সম্প্রতি আজ একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বদিউজ্জামান মিন্টু এর সাথে। বিষয়টি নিয়ে সরজমিনে তদন্ত করতে গেলে জানা যায়, কয়েকদিন আগে বদিউজ্জামান মিন্টু মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় তার পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটির চিকিৎসা নিতে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে অবস্থানরত জরুরী চিকিৎসক ডা. প্লাবন হালদার অপেশাদার ‘চিকিৎসক মাইন্ড ‘আচরণ করেন বলে হাসপাতালের এক সূত্রে জানা যায়। এবং তার ব্যবহার মোটেও চিকিৎসক সুলভ ছিল না বলে এও জানান। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বের হয়ে যাবার সময় বদিউজ্জামান মিন্টুকে উদ্দেশ্য করে কটুবাক্য করেন ডা. প্লাবন হালদার। এবং ডা. প্লাবন হালদার পাশে অবস্থান করা কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা হাসপাতালের ‘রিপোর্ট দালাল’ও ডাক্তারের সাথে ছিলেন ও কটুবাক্য করছিলেন।

কেন কটুবাক্য করছিলেন বদিউজ্জামান মিন্টুকে নিয়ে আসা সহকর্মীরা জানতে চাইলে, হাসপাতালে ডাক্তার পাশে থাকা কয়েকজন লোক ( দালাল নামে পরিচিত) আরো উত্তেজিত হয়ে পরে। এবং আচমকাই হাসপাতালের একজন (অপরিচিত) বদিউজ্জামান মিন্টুর দিকে তেড়ে আসেন দুজন পুরুষ এ একজন নারী। পরবর্তীতে হাতাহাতি ঘটার পর্যায় গেলে বদিউজ্জামান মিন্টু তাৎক্ষনিক বিষয়টি শান্ত করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ত্যাগ করেন।

এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির কিছু অসাধু নেতাকর্মী ভুলভাল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এবং স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমকেও ভুল তথ্য দিয়েছেন। পাশাপাশি যে নারীর বিরুদ্ধে চড় থাপ্পড় মারার অভিযোগ এসেছে বদিউজ্জামান মিন্টুর বিরুদ্ধে। পুরো বিষয়টি ভোগাস বলে জানা যায়।

নারীকে মারধরের ঘটনার বিষয় ডেইলি বাংলাদেশ টাইম এর সাথে কথা হয় বদিউজ্জামান মিন্টুর। তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে যাওয়ার পরে চিকিৎসক এর সাথে কথা বলি এবং পায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি বলি। ডাক্তার এর কথাবার্তায় যেন পেশাদার চরিত্র পাচ্ছিলাম না, তাই আমি প্রিসক্রিপশন এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কটুবাক্য করছিলেন এবং তার পাশে দাড়ানো কয়েকজনও করছিলেন পরবর্তী জানতে পারি তারা হাসপাতালের কেউ নন বরং কমিশন কাজে লিপ্ত এমন কিছু করেন (হাসপাতাল বাণিজ্য দালাল), সেখানে তাদের মধ্যে কয়েকজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন। আমাকে হাসপাতালে যারা নিয়ে এসেছেন তারা তাদের কটুবাক্য কেন করেছেন জানতে চাইলে চড়াও হোন এবং আমাদের দিকে তেড়ে আসেন। সাথে সাথে বিষয়টি আমি শান্ত করি। ডাক্তার এর বয়স আমার ছেলের বয়সী হবে। আমি সাতপাঁচ না ভেবে হাসপাতাল ত্যাগ করি। পরবর্তীতে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি হাসপাতালেরর টিএইচও কে অবহিত করি। এবং আমি প্রেস ক্লাবে চলে আসি একটি মিটিংয়ে যোগ দেবার জন্য। এরইমধ্যে কিছু স্থানীয় গণমাধ্যম জানতে পারি আমার বিরুদ্ধে হাসপাতালের সেই সন্ত্রাসীরা অভিযোগ করেছেন থানায়। বিষয়টি হাস্যকর ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত, ভিত্তিহীন,অসত্য ও বিভ্রান্তিকর গবেষণা। মূলত আমাকে হেয় করার জন্য একটি গ্রুপ চাউর হয়েছে।

চড় থাপ্পড় মারার ব্যাখা -গণমাধ্যমে নানান চমকপ্রদ তথ্য ও শিরোনাম খচিয়ে এইসব খবর প্রকাশ একেবারেই কাম্য নয়। নারী রুগীর সাথে আসা বোনকে আমি কেন শারীরিক লাঞ্চিত করতে যাব? আমার মনে হয় হাসপাতালের অসাধু লোকজন ও কতিপয় কিছু আমার বিরুদ্ধ মানুষেরা এসব কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে গৌরনদী বিএনপির মানহানির পরিবেশে ঘটে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব গুজবে কেউ কান দিবেন না অসত্য অপ্রযোজ্য যুক্তি মাথায় নেবেন না।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তার ব্যবহারকৃত ফোনটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।

বদিউজ্জামান মিন্টু একজন মেধাবী আইনের ছাত্র ছিলেন। গৌরনদী সরকারি কলেজ, বরিশাল বিএম কলেজ এবং বরিশাল ল কলেজের ছাত্র ছিলেন। পড়ালেখা চলাকালীন সময়ে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

এক নজরে বদিউজ্জামান মিন্টুর রাজনৈতিক ইতিহাস,

**সাধারণ সম্পাদক-১৯৮৪ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখা।

**সভাপতি-১৯৮৭ইং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ৩নং চঁাদশী ইউনিয়ন শাখা (বর্তমান গৌরনদী পৌরসভা).।

  • *১নং যুগ্ম আহবায়ক-১৯৯১ইং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সরকারি গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা।

** ক্রীড়া সম্পাদক-১৯৯২ইং ছাত্র সংসদ-১৯৯২ইং, সরকারি গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

  • * সভাপতি-১৯৯২ইং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সরকারি গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা।
  • * সভাপতি-১৯৯৫ইং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গৌরনদী উপজেলা শাখা।
  • * সিনিয়র সহ-সভাপতি-২০০০ইং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বরিশাল জেলা।
  • * আহবায়ক-২০০৩ইং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল গৌরনদী উপজেলা শাখা। ** সভাপতি-২০০৫ইং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল গৌরনদী উপজেলা শাখা।
  • সাধারণ সম্পাদক-২০০৮ইং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বরিশাল জেলা (উত্তর)।
  • * যুগ্ম আহবায়ক-২০০৯ইং গৌরনদী উপজেলা বিএনপি।
  • * সাংগাঠনিক সম্পাদক-২০০৯ইং গৌরনদী উপজেলা বিএনপি।
  • * চারদলীয় ঐক্যজোট প্রার্থী-২০০৯ইং উপজেলা চেয়ারম্যান, গৌরনদী উপজেলা।

** প্রচার সম্পাদক-২০১০ইং বরিশাল জেলা বিএনপি (উত্তর)।

** যুগ্ম্ আহবায়ক-২০১৫ গৌরনদী উপজেলা বিএনপি।

  • * আহবায়ক সদস্য-২০২২ বরিশাল জেলা বিএনপি (উত্তর)।

** সিনিয়র- যুগ্ম আহবায়ক-২০২৩ গৌরনদী উপজেলা বিএনপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *