আন্তর্জাতিক

লকডাউনে আটকা পড়ে সব হারিয়ে বসেছেন রোনালদো !

Share this:

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো টানা তিন মাসেরও বেশি সময় পুরোপুরি মাঠের বাইরে। অনুশীলন পর্যন্ত করা যায়নি। এই তিনমাস ক্লাবেও ছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদে। লকডাউনে আটকা পড়ে নিজের বাড়ি পর্তুগালের মাদেইরাতে সময় কাটিয়েছেন তিনি। আর এই লকডাউনেই কি নিজের সব ফর্ম হারিয়ে ফেলেছেন ৩৫ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ তারকা! তিন মাস বিরতির পর যখন মাঠে ফিরলো ফুটবল, তখন সেই আক্রমণাত্মক রোনালদোকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ইটালিয়ান সিরি-আ এখনও শুরু হয়নি। তবে ইতালিতে ফুটবল মাঠে ফিরেছে কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ এবং ফাইনাল দিয়ে। সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে এসি মিলানের বিপক্ষে দারুণ নিষ্প্রভ ছিলেন রোনালদো। এমনকি পেনাল্টি পর্যন্ত মিস করেছেন। ফাইনালে ন্যাপোলির বিপক্ষেও পুরো ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি রোনালদোকে। এমনকি শেষ মুহূর্তে টাইব্রেকারের শেষ শটটি নেয়ার প্রস্তুতি নিলেও সেই শর্টটি নিতে পারেননি তিনি। তার আগেই হেরে যায় দল। অথচ রোনালদোর চির প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি রয়েছেন সেই আগের মতোই। বরং, তার চেয়েও দুর্দান্ত। দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই গোল করেছেন তিনি। করোনার কারণে ফুটবল বন্ধ হওয়ার আগে টানা ১৪ ম্যাচে ১৯ গোল করেছিলেন রোনালদো। কিন্তু করোনার পর দুই ম্যাচে সেই স্মৃতি মোটেও ফিরিয়ে আনতে পারেননি সিআর সেভেন। ন্যাপোলির কাছে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর রোনালদোকে নিয়ে কোচ মাওরিসিও সারি বলেন, ‘এই মুহূর্তে তার (শারীরিক অবস্থা) নাম্বার খুব খারাপ নয়। সম্ভবত, মৌসুমের সেরা সময়টা তার এখনও বাকি। এর অর্থ, সে অনেক বেশি অনুশীলন করেছে (লকডাউনের সময়টাতে)।’ সারি আরো বলেন, ‘তার খেলার গতি সম্পর্কে যদি বলতে হয়, তাহলে তার নামের পাশে যে পরিসংখ্যান দাঁড়াচ্ছে, তা তার জন্য মানানসই নয়। তবে কয়েকটি ম্যাচে এমন হতেই পারে কোনো খেলোয়াড়ের। এটা খুবই স্বাভাবিক।’ ন্যাপোলির বিপক্ষে রোনালদো শুধুমাত্র একবার একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কর্নার কিক থেকে নেয়া শটটি তিনি ফেলেছিলেনে একেবারে গোলের সামনে; কিন্তু ন্যাপোলি গোলরক্ষক অ্যালেক্স মেরেট সেটা ঠেকিয়ে দেন। এ ছাড়া আর গোলের সুযোগই তিনি তৈরি করতে পারেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *