বরিশাল বিভাগ

যারা গুজব ও অপপ্রচার করেছে সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো : রেজাউল সিকদার

Share this:

(জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, অরণ্য সোয়েব )- গৌরনদী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস তুখোড় রাজনৈতিক নেতা সিকদার সফিকুর রহমান (রেজাউল সিকদার)। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি চাকা মার্কায় উপজেলা নির্বাচন করে বেশ আলোচিত হন।সামান্য কিছু ভোট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হন সেকালে তিনি। সেসময়ে যদি তার সাথে অপরাজনীতি না হতো তবে সে আজ জনতার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান উপাধি পেতেন বলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ভাষ্য।

সর্বশেষ, ২০২৪ সালের ২৬ জুন গৌরনদী পৌরসভার উপ-নির্বাচন এ চামচ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। জানা যায় সে নির্বাচন করার অন্য কোনো কারণ ছিল যদিও সে কারণ রেজাউল সিকদার পরিষ্কার করে কিছু জানাননি। কিন্তু একটা পক্ষের সবসময় দাবি ছিল তিনি নির্বাচন করেছিলেন শুধুমাত্র কোনো এক প্রার্থীকে হারানোর জন্য ও জেতানোর জন্য।

দীর্ঘ ৩৮ বছরের রাজনীতির ক্যারিয়ারে তার আলোচনার পাশাপাশি টুকটাক সমালোচনাও ক্ষানিকটা ছিল।তবে সব সমালোচনা ছাপিয়ে যদি আলোচনা আসে তবে ভালো কাজের দিকটা আলোকিত হবে।

সম্প্রতি, এক গুজব চাউর হয়েছে ১ নং ওয়ার্ড টরকী বন্দরে রেজাউল সিকদার এর বিরুদ্ধে।তিনি, কাঁলাচান মন্ডল নামে এক চাল ব্যাবসায়ীর কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। এই বিষয়ে কাঁলাচান মন্ডল গণমাধ্যকে বলেন, রেজাউল সিকদার বেশ কয়েকদিন ধরে আমার কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। আমি সেটা দিতে অপরাগত করলে আজ সকালে তার তিনিসহ কয়েকজন আমার দোকানের সামনে আসে এবং আবারো টাকার কথা বলেন,আমি বরাবরের মতন না করলে তিনি আমাকে দেখে নেবার হুমকিসহ নানান কথা বলে যান।

ঘটনার বিস্তারিত জানতে ডেইলি বাংলাদেশ টাইম( অনলাইন বাংলা) যোগাযোগ করেন রেজাউল সিকদার এর সাথে তিনি বলেন, আপনার কাছেই শুনলাম যে আমার নামে চাঁদাবাজি ও রাস্তা অবরোধ আরো কি কি বললেন। আসলে এমন কিছুই আমি করিনি যার জন্য এমন করার কথা।মূল ঘটনাটা ছিল একটি জমির কেনাবেচা নিয়ে যেটির সালিশী আমি করেছিলাম। আমার কাছে দুই পক্ষ এসেছিলেন এটি নিয়ে বসতে এবং মীমাংসা করে দেবার জন্য। একটি জমি বিক্রি করার জন্য দুবার টাকা নিয়েছেন একটি পক্ষ মানে এক জমির টাকা দুজনের কাছে বিক্রি করবেন বলে টাকা এনেছেন একটি পক্ষ। পরবর্তীতে সমাধান করে দেই এবং আমি বলি যে জমির আসল মালিক তাকে যার কাছে থেকে টাকা এনেছেন এবং জমি দেননি টাকা তাকে ফেরত দিতে। এরপরে জমির মালিক যার কাছে থেকে টাকা এনে টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না, সে কিছু টাকা ফেরত দেন।বাকি যে টাকাটা ছিল সেটাই এই দুই লক্ষ টাকা। যে দুই লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির কথা হচ্ছে এটা কোনোভাবেই চাঁদাবাজি নয় বরং আমি গিয়েছিলাম তার দোকানে সে বাকি টাকা দিচ্ছেনা কেন সেটা শুনতে। কিন্তু সে আমাকে নানাভাবে হেয় মূলক কথা বলে যেটাতে আমি রেগে যাই। পরবর্তীতে আমি সেখান থেকে চলে আসি কারণ আজকে আমার ঢাকায় জরুরী পার্টি মিটিং আছে।

তিনি আরো বলেন, এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপূর্ণ ও আমাকে ছোট করার জন্য করেছেন।না জেনে কারোর বিরুদ্ধে গিয়ে পাঁচ কথা বললে সে নেতা হয়ে যায়না। আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে অপবাদ যারা দিয়েছেন এবং যারা এটির সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত এবং যারা গুজব ও অপপ্রচার করেছে সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্তা নেবো।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিকদার রেজাউল এর বিরুদ্ধে মামলা সহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা দুপুর ১ টার দিকে অবরোধ তুলে নেন এবং দোকান পাট খুলেন।

এই ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে টরকী বন্দরের অধিকাংশ ব্যাবসায়ী একত্রিত হয়ে রেজাউল সিকদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন ও দোকান বন্ধ করে রাখেন। এ সময়ে তারা টরকী বন্দর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা -বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন।

টরকী বন্দর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান চঞ্চল এর সভাপত্বিতে ব্যাবসায়ীরা এই সমাবেশ করেন। সেখানে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন আরো আবুল কাসেম ,বিশ্বজিত রায় প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *