গির্জায় ককটেল হামলা ন্যক্কারজনক ঘটনা : সাংবাদিক সোয়েব সিকদার
(স্টাফ রিপোর্টার – লিটন ওয়াশিংটন)-এক মাসে ককটেল হামলা হয়েছে তিনটি স্থানে৷ হামলায় হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের মাঝে উদ্বেগ ও ভয় ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷
গত সোমবার প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পাতার এক পোস্টে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় ককটেল হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সি এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)৷ প্রাথমিক তদন্তে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়ে সেখানে আরো বলা হয়, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরি’জ ক্য্যাথেড্রাল এবং সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷
গত ৮ অক্টোবর ঢাকার প্রাচীনতম গির্জা হোলি রোজারি ক্যাথলিক চার্চে ককটেল হামলা হয়৷ গত শুক্রবার রাতে ককটেল নিক্ষেপ করা হয় আরো দুটি গির্জা ও গির্জা সংলগ্ন স্থাপনায়৷ হোলি রোজারি ক্যাথলিক চার্চ, সেন্ট মেরি’জ ক্যাথেড্রাল এবং সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজে চালানো হামলা তিনটিতে কেউ হতাহত হয়নি৷
বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও জানান, সেন্ট মেরি ক্যাথেড্রালের সামনে ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়৷ তবে পরের দিন প্রায় ৫০০ জন উপাসনা করতে গির্জায় এসেছিলেন বলেও জানান তিনি৷
পুলিশের এক মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে গির্জা ও স্কুলের মাঠে ককটেল মেরে দ্রুতে চলে যায়৷ তিনি মনে করেন, আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এ হামলা হয়ে থাকতে পারে৷ হামলাগুলো পরস্পর সম্পর্কিত, নাকি প্রতিটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷
এই বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক এবং মানবধিকার কর্মী সোয়েব সিকদার জানান , “অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও ন্যক্কারজনক”। চলতি বছরের ৮ অক্টোবর তেজগাঁওয়ের হলি রোজারিও চার্চেও অনুরূপ হামলার ঘটনা ঘটেছিল। অল্প সময়ের ব্যবধানে দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গির্জায় এমন নাশকতামূলক ঘটনা ঘটায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। রমনা ক্যাথেড্রালে হামলাকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া যায় না। এটি ধর্মীয় সম্প্রীতির ওপর সরাসরি আঘাত।”
সোয়েব সিকদার আরো বলেন ,পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব চার্চ, মিশনারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয়।

