জাতীয়বরিশাল বিভাগসারাদেশ

বরিশাল কালেক্টরেট ভবন দেশের সর্বপ্রথম সরকারি ভবন

Share this:

বরিশাল কালেক্টরেট ভবন দেশের সর্বপ্রথম সরকারি ভবন। সুলতানি ও মোগল আমলের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়েছিল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ‘বারৈকরণ’। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কার্যক্রমও চলত এখান থেকে। ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে স্যামুয়েল মিডলটন সুন্দরবন কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়ার পর যোগাযোগব্যবস্থার সুবিধার্থে প্রশাসনিক কার্যক্রম প্রথমে স্থানান্তর করা হয় বাকেরগঞ্জে। পরবর্তী সময় ১৮২১ সালে বরিশালে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কালেক্টরেট ভবনটি নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত এ নামেই ভবনটি চিনত সবাই। স্বাধীন বাংলাদেশে ভবনটি বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হিসেবে পরিচিতি পায়।

১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জ পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে স্বতন্ত্র কালেক্টরেটের মর্যাদা লাভ করে। প্রথম কালেক্টর নিযুক্ত হন উইলিয়াম হান্টার। সদরদপ্তর স্থানান্তরের পালাবদলে ক্রমশ: আলোকিত হয়ে ওঠে বাকেরগঞ্জ আর বিস্মৃতির অন্ধকারে ঢাকা পড়ে এক সময়ের বিখ্যাত জনপদ ‘বারৈকরণ’। সময়ের পরিক্রমায় ভবনটি এক সময়ে পুরাতন কালেক্টরেট ভবন নামে পরিচিতি লাভ করে।

১৯৭৯ সালে ভবনটিকে ব্যবহার অনুপযোগী এবং ১৯৮৪ সালের দিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সরকার এই ভবনটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। ২০০৫ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে পুরনো কালেক্টরেট ভবন হস্তান্তর করা হয়। পরে ২০১২ সালে ভবনটিকে সংস্কার এবং ২০১৫ সালে বিভাগীয় জাদুঘর ঘোষণা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *