বরিশাল বিভাগ

মহাসড়কে টিউমার

Share this:


প্রতিনিধি, গৌরনদী(বরিশাল):

দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক পথে যাতায়তের প্রবেশ পথ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারী-হালকা যানবাহন থেকে শুরু করে মোটরবাইকসহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে।
সাগর কন্যা কুয়াকাটা, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ দখিণের জনপদে প্রবেশের একমাত্র ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভুরঘাটা থেকে জয়শ্রী পর্যন্ত দীর্ঘ মহাসড়কটি বিভিন্ন স্থানে বছরের অধিকাংশ সময় ছোট বড় খানাখন্দ থাকে। ফলে অকেন সময় যান চলাচলে বিগ্ন ঘটে। বর্তমানে খানাখন্দের সাথে মহাসড়কে নতুন করে যুক্ত হয়েছে টিউমার।
সরেজমিন ভুরঘাটা থেকে জয়শ্রী পর্যন্ত মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ-পাথরে একাকার হয়ে সড়কের পাশে উঁচু হয়ে জেগে উঠেছে টিউমার। একদিকে ছোট বড় খানাখন্দ অপরদিকে সড়কের টিউমারে দিশেহারা হয়ে পরছে যানবাহনের চালকেরা। ফলে এ মহাসড়কটিতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।
একাধিক যাত্রিবাহী বাস চালকেরা জানান, বাসের চাকা খানাখন্দে কিংবা টিউমারের উপর উঠে গেলে বাসের মধ্যে ব্যাপক আকারে কম্পন হয়। যেকারনে যাত্রীদের গালমন্দের শিকার হতে হয় চালকদের। এসড়কটি দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী মোটরবাইক চালক এমদাদ হোসেন, এস.এম মিজান, মোহাম্মদ আলী বাবুসহ একাধিক মোটরবাইক চালকেরা জানান, অনেক সময় দূর থেকে খানাখন্দ দেখা গেলেও হঠাৎ করে সড়কের পাশে থাকা টিউমার চোখে পরেনা। এছাড়াও মাঝে মধ্যে পিছন থেকে আসা বড় গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে উঁচু টিউমারের উপর চাকা উঠে গেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পরে। যার ফলে বিপদের সম্মুখিন হতে হচ্ছে চালকদের। মহাসড়ক থেকে অতিদ্রুত টিউমার অপসারনের দাবী জানান তারা।
মহাসড়কের পাশে উচু স্থানগুলো অনেক সময় দূর্ঘটনার কারন জানিয়ে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, মহাসড়ক থেকে উচু স্থানগুলো অপসারনের জন্য অতি শিগ্রই সওজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এবিষয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ খান জানান, অতি শিগ্রই মহাসড়কের উঁচু স্থানগুলো অপসারন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *