বরিশালের কর্মহীনদের পাশে নেই রাজনৈতিক নেতারা
বরিশাল ব্যুরো : চলমান কঠোর লকডাউনের এক সপ্তাহে বরিশালের সর্বত্র স্থবির হয়ে পরেছে। সরকার থেকে প্রথম পর্যায়ে এক সপ্তাহের পর পূর্ণরায় আরও সাতদিনের কঠোর লকডাউনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে করে দৈনিক আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় অসহায় ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছেন দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমজীবীদের পরিবার ।
গত বছর করোনা সংক্রমণের শুরুতে লকডাউন চলাকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধিসহ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান খাদ্য সহায়তা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালেও এবার এখনও তাদের দেখা মেলেনি ।
চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে শুধুমাত্র ইউএনডিপি’র অর্থায়নে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বাস্তবায়নে ও একটি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় কোভিড-১৯ হিউম্যান রাইটস রেসপন্স’র খাদ্য সহায়তা এবং বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মানবিক খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হলেও পরিবার তুলনায় তা সীমিত । এছাড়া অন্যকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এখনও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায়নি ।
অসহায় ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সহায়তা করার মতো পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি, যদি হয় তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। সিনিয়র সহসভাপতি এ্যাডভোকেট আফজালুল করীম বলেন, করোনা ইস্যুতে অতিসম্প্রতি একটি সভায় সাধ্যমতো সকল নেতৃবৃন্দকে অসহায় মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ।
জাতীয় পার্টির জেলার সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, কর্মহীন মানুষের জন্য দায়িত্ব সরকারেরই বেশি । পাশাপাশি যে যার মতো করে সহায়তা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের সহায়তা করছি ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি চরমোনাই পীরের ভাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, পরিস্থিতি এখনও সেরকম হয়নি, তবে তাদের প্রস্তুতি নেওয়া আছে । প্রয়োজন হলে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে ।
বাসদের জেলা শাখার সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ার হারে বর্তমান সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে । এ অবস্থায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু করলে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হবে । এ কারণে বাসদ আপাতত খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেনা । তবে ঈদ-উল আযহার আগেই তারা নগরীতে খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু করবেন। তিনি আরও বলেন, ২৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও চারটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বাসদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে ।
প্রতিদিন ৫/৬ জন রোগীকে তারা সিলিন্ডার সরবরাহ করছেন। মেডিকেল টিম গড়ে প্রতিদিন পাঁচজন রোগীর বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এছাড়া ফোনে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ জন। তালিকা করে প্রত্যেক রোগীর কাছে ফোন দিয়ে তাদের খোঁজখবর ও চাহিদা অনুযায়ী সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে ।