বিনোদন

নাঈমা হোসেন থেকে যেভাবে ডিজে পরী হবার গল্প!

অর্পিত নাম নাঈমা হোসেন তবে আরোপিত নাম ডিজে পরী।বর্তমান সময়ে যে’কজন ডিজে আছে তার মধ্যে অনায়াসে তার নামটি প্রথম সারিতে চলে আসে। ইউনিভার্সিটিতে ওঠার আগ থেকেই মিউজিক নিয়ে ডিজে পরী কাজ শুরু করেন। শুধু মিউজিকেই থাকেননি, তিনি শোবিজের বিভিন্ন শাখায় নিজেকে ছড়িয়েছেন।তার সমসাময়িক সকল ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন ডেইলি বাংলাদেশ টাইম এর সাথে। লিখেছেন অরণ্য শোয়েব।

*ডবট-আপনার শুরুটা জানতে চাই ছোট করে?

*ডিজে পরী-আমি ইন্টারমিডিয়েট করার পর থেকেই মিউজিক নিয়ে কাজ করি সেটা ধরুন ২০১২ পর থেকেই।আর আমি ছোটবেলা থেকেই নাচ গান অভিনয় শিখি, আমার পরিবার একটি কালচারাল ফ্যামিলি। আমার পথ চলা বলা যায় সেই ক্লাস ওয়ান থেকেই যখন আমি নাচ শিখি।শিল্পকলা একডেমি শিশু একাডেমি থেকে আমি শিক্ষাগ্রহণ করেছি।নাচ গান যখন করতাম তখন আমি থিয়েটারেও কাজ করতাম। এরপরে একুশে টিভিতে এটিএন বাংলায় বেশ কিছু প্রোগ্র‍্যামে উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করি।এরমধ্যে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার টেস্ট পরীক্ষ চলে আসে আর প্রেসার পরে পড়াশোনার তাই সব অফ থাকে, কিন্তু তারমধ্যেই মিস্টার ম্যাংগো ললীপপ একটি বিজ্ঞাপনের অফার আসে আমার কাছে এবং সেটা আমি করি মুখ্য চরিত্র। মূলত আমার এখান থেকেই শুরু বিজ্ঞাপন লাইফ, তারপরে প্রথম একটেল থেকে রবি এটারও বিজ্ঞাপন আমিও করি।এই বিজ্ঞাপন এক জনপ্রিয় নায়িকার কথা ছিল।২০১১ না জানি ২০১২ এটা সেই সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সবার কাছে।এরপরে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ভেনাস জুয়েলার্স, আপন জুয়েলাস,ওমেন্স ওয়াল্ড, সব ফটোশুটেই ছিলাম আমি।এবং আমি দুটো নাটকও করেছি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল এই অভিনয় যায়গায় আমার উপরে সবাই প্রভাব খাঠাতে চায় এবং আমার প্যারা মনে হচ্ছিল। সবাই কথা ফলাতে চায় আর আমি ফ্রিডমভাবে কাজ করতে চেয়েছিলাম। এরপরে ২০১২ সালের একটি ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে একটি পার্টির অরগানাইজ হয় আর সেখানে অনেক মডেল এবং নামিদামি কোরিওগ্রাফার ছিলেন, ভাই প্রিন্স ভাইরা। সেখানে একজন বড় ভাই আমাকে ডিজিংটা করার অফার দেয়। ওই টাইমটাতে দু একজন মেয়ে ডিজে ছিল। আমি প্রায় দেড় বছর টানা ডিজিংটা করি, তাই আমার মিডিয়ার দিকে তাকানো হয়নি।এবং শো’গুলো আমিই করতাম একা।সেই ২০১২ থেকে আর করোনার আগ অব্দি আমার মাসে ২০+২২ টা শো থাকত।

  • ডবট- বর্তমান সময়ে ব্যস্ততা কি নিয়ে?

*ডিজে পরী -বাসায় অবস্থান নিয়েছি এখন। শো তো বন্ধ রয়েছে।তবে টুকটাক কিছু গানের কাজ করছি অডিও ভিডিও, সেটা নিয়েই আছি। নতুন কিছু কাজের কথা চলছে লকডাউন শেষ হলেই হয়ত কাজে নেমে পরব।

*ডবট-এই সময়ে একজন মেয়ে ডিজে হতে গেলে কি কি বেশি প্রয়োজন?

*ডিজে পরী-সবাই তো শিক্ষিত কিন্তু কজন এর মধ্যে ম্যানার আছে? ম্যানারটা জানতে হবে। সবাইকে সম্মান করতে হবে, এখন অনেকেই আমাদেরই সম্মান করেনা অনেক বেয়াদব উল্কাপিণ্ড ভরে গেছে এই জায়গায়।বিনয় বিষয়টা হারিয়ে গেছে। একজন মেয়ে যদি ডিজে হতে চায় তার ম্যানার জানতে হবে আউটলুক সুন্দর হতে হবে,স্মার্ট হতে হবে, মিউজিকাল সেন্স কঠোর হতে হবে,আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা খুব প্রয়োজন।

*ডবট -সমালোচকদের কাছে ডিজে মানে খারাপ কিছু! এই ব্যাপারে কি বলবেন?

*ডিজে পরী -সবাই তো ডিজে না কেউ কেউ এই নামের অর্থই জানেনা শুধু ব্যাবহার করে। আর যারা কিছু না জেনেই ডিস্ক সামনে নিয়ে নাড়াচাড়া করে তারা তো ডিজেনা। এদের মধ্যে কিছু মেয়ে ছেলে আছে যারা নিজেকে খুব বাজেভাবে উপস্থাপন করে।এবং একটা বিষয় পেপার পত্রিকা দেখলে খারাপ লাগে যে কোন অপৃতকর ঘটনা ঘটলে ডিজে পার্টি নামটি চলে আসে। কিন্তু দেখা যায় যে ডিজে পার্টির কার্যক্রমই হয়নি সেখানে।ডিজে নেহা নামে একটি মেয়ে মদ খেয়ে যা করেছে ও বলেছে। সে আসলে তো ডিজেই ছিলনা। সে একটা পার্টিতে বসে মদ খাচ্ছিল।ডিজে মানে হচ্ছে আপনি প্যানেলে বসা থাকবেন,এবং এমন কোনো ধরনের ভিডিও পাবলিশ হলে মেনে নেয়া যেত যে হ্যা এখনে অকারেন্স হয়েছে।ডিজে সনিকা আপু, রাহাত ভাইয়া,প্রিন্স ভাইয়া, জেনিফার, মারিয়া, আমরা যারা আছি আরো যারা ডিজে আছে কারও নাম কি আসছে কোথাও? পার্টিতে গেলেই ডিজে বানায় সবাই, একটা পার্টিতে শত ক্রাউট থাকে সেখানে যদি ৫০ টি মেয়ে যায় তারা কি ডিজে? আসলে এখন ডিজে নামটা ভাংগিয়ে এই যায়গাটা খারাপ করার চেস্টা করছে কিছু মানুষ।

Nayma hossain Dj Pori

*ডবট – ডিজে পরীর সামনে পরিকল্পনা কি?

*ডিজে পরী -মিউজিক নিয়েই কাজ করব।এবং আমি তো মিক্সড করি। হয়ত বিয়ের পরে একটু কাজ কম করব। যেহেতু মিউজিক নিয়েই আমার কাজ আমি ডিজিংটা করি এটাই থাকবে।তবে এর পাশাপাশি বিজনেস করব।অনেক ডিজেই নিজের এ্যালবাম করেছেন আমি করিনি, আমি মনে করি কাজ করতে করতে একটা টাইমে সবাই জেনে যাবে সব কিছুই তে আমি বিরাজমান।

*ডবট- নাচ গান অভিনয় উপস্থাপনা সবশেষ ডিজিং তবে সিনেমা নিয়ে কি কোন ভাবনা আছে?

*ডিজে পরী -খুব মজার একটা প্রশ্ন আসলে, আমার জীবনের ধামাকা অফার হয়েছিল সিনেমার অফার পেয়েই যখন রবির বিজ্ঞাপন করি।সিনেমার অফার সেই থেকেই আসে।যখন সিনেমার অফার আসে তখন আমার আগ্রহ ছিলনা বিকজ তখন সিনেমার কিছু বিষয় আমার ভালো লাগত না তবে এখন সিনেমা অনেক উন্নত হয়েছে।তবে এখন ভালো কোনো গল্প আসলে অবশ্যই করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *