আবির হোসেন সংগীত শিল্পের নবাগত শিল্পী ও উদ্যোক্তা
বাংলাদেশের তরুণ তরুণী একদিন বিশ্বজয় করবে এ বিশ্বাস আপাদমস্তক মনের গহীনে। লক্ষ তরুণদের মাঝেই এমন স্বপ্নের জাল বোনাচ্ছেন এক তরুণ। নাম মোঃ আবির হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার একটি ছোট্ট গ্রামে অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়স থেকেই মিউজিক তৈরির প্রতি ছিলো প্রবল আগ্রহ। একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির দ্রুত বৃদ্ধি এবং আধুনিকীকরণের সাথে, তরুণ মন নতুন এবং অনুপ্রেরণামূলক ধারণা তৈরি করতে অনুপ্রাণিত যা আজকের প্রযুক্তিতে একটি বিশাল পার্থক্য আনতে পারে। আমাদের সামনে এমনই একটি উদাহরণ হলেন মো: আবির হোসেন।
স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষার কথা বলতে গেলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা কোনও বয়সসীমা দেখাননি। খুব অল্প বয়সেই তাঁর নিজস্ব সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে, তিনি “কনিষ্ঠতম উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল বিপণন বিশেষজ্ঞ” হিসাবে পরিচিত হয়েছেন, এটি আজ একটি অসামান্য অর্জন।
আবির এমন একটি পটভূমি থেকে এসেছেন যার ডিজিটাল বিপণন সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। তিনি তার সমস্ত অনিরাপত্তাকে স্থায়ী প্রতিশ্রুতিতে পরিণত করেছিলেন এবং এখন তিনি যে ক্ষেত্রে কাজ করেন তার ক্ষেত্রে একট পরিবারের সমর্থনে এবং তাঁর নিষ্ঠার সাথে কাজ করার কারণে তিনি এই ক্ষেত্রে একটি সুপরিচিত এবং বিখ্যাত ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।
ডিজিটাল বিপণনকারী হিসাবে মোঃ আবির হোসেন বিশ্বাস করেন যে সাফল্যের কোনও শর্টকাট নেই। লোকেরা তাদের সততা, একাগ্রতা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সফল হতে পারে। মানুষের কর্মে যেখানে সত্যতা নেই সেখানে কর্মের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা নেই এবং আসল সাফল্য খুঁজে পাওয়া যায় না। সুতরাং প্রতিটি মানুষের উচিত সততার সাথে কাজ করা। কঠোর পরিশ্রম মানুষকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেয়। সততার অধিকার বজায় রাখা এবং ধৈর্যকে একপাশে রেখে দেওয়া সাফল্যের একমাত্র উপায়। তিনি বলেন সকল কাজের শুরুতেই বাধার মুখোমুখি হতে হয় তবে সেগুলি অতিক্রম করা শিখতে হবে।
তিনি বলেন, “আসলে, একটি সুরকার একটি শিল্প ফর্ম যা সুরকার এবং গীতিকার হিসাবে ক্যারিয়ার সম্পর্কে প্রচুর দক্ষতার প্রয়োজন। আমি সবসময় নতুন টিউন শিখার চেষ্টা করি। আমি চেষ্টার মাধ্যমে আমার সংগীতকে আরও সজীব করতে চাই। আমার মনে হয় আমার আরও শিখতে হবে এবং আমি সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছি।
আবির বর্তমানে নতুন কিছু প্রজেক্টের কাজ করছে এবং কাজ করার ইচ্ছে আছে সিনেমা নাটক মিডিয়ার সকল শাখায়।
মোঃ আবির হোসেন প্রথমে ‘ স্যাড ফর ইউ ‘ গানের মাধ্যমে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি তার তৈরি করা মিউজিক বিশ্বের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে গুগল তাকে বাংলাদেশি মিউজিশিয়ান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি গীতিকার হিসাবে তাঁর উজ্জ্বলতা প্রমাণ করেছেন। স্পোটাইফাই, আইটিউনস, অ্যাপল, অ্যামাজন, টিডাল, ডিজার সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলিতে তাঁর গানগুলি সমান জনপ্রিয় অর্জন করেছে। তিনি চেষ্টার মাধ্যমে তারসংগীতকে আরও সজীব করতে চায় ।
উল্লেখ্য,১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এই তরুণ প্রতিভাবান নবাগত। বাবা মোঃ আলতাফ হোসেন প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং মা গৃহিণী। মনিরা বেগম। তিনি চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। ছোট্ট একটি গ্রামে বেড়ে ওঠা তার। তিনি চর গ্রিশ ইউনিয়ন এ এম মুনসুর আলী ইউনিয়নের একজন সদস্য।
