বরিশাল বিভাগশিক্ষাসারাদেশ

উজিরপুরে শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয়দের নিয়ে জমি দখল?

Share this:

অরণ্য সোয়েব বিশেষ প্রতিনিধি – বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ৫ নং শোলক ইউনিয়ন এর শোলক গ্রামে অবস্থিত ১২৫ বছরের পুরাতন স্কুল শোলক ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলের বহু জমি-জমা রয়েছে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায়। এবং প্রচুর পরিমানে রয়েছে জমি লিজ দেয়া (ইজারা)। আদায়কৃত উক্ত লিজকৃত অর্থের পরিমাণ অনেক। সে অর্থের ব্যয় নিয়ে রয়েছে নানান মত। পূর্বের ও বর্তমান কয়েকজন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়েও আছে সমালোচনা।

তবে সম্প্রতি অত্র স্কুল রয়েছে এখন সমালোচনার শীর্ষে। আজ ১৯ মে সকাল বেলায় ঘটেছে এক অপ্রীতকর ঘটনা। যাহা ১২৫ বছরের স্কুলকে করেছে অসম্মান। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে সকাল বেলায় কোনো একজন ( হতে পারে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বা অভিভাবক সদদ্য?) ব্যক্তি স্কুল মাঠে মাইকে এনাউন্স করে স্কুলের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের প্রভাবিত করেন জমি দখল এর জন্য।

পরবর্তীতে দখলকৃত জমিতে গিয়ে দেখা যায়, সেটি স্কুলের পুরনো সম্পত্তি যেটি লিজ আকারে চলছিল। সেটির পুনরুদ্ধারের জন্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্য এবং স্থানীয়দের নিয়ে উক্ত উদ্ধারকৃত জমিতে যান। আরো জানা যায়, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সেখানে অবস্থিত বাড়িতে ভাংচুর করে এবং টিনসেড বাড়ি পুরো সিনেমা স্টাইলে ভেঙে ফেলে। এই কান্ডতে এক ছাত্রীর হাত কেটে যায়। কে বা কার নির্দেশে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে সেটির প্রমাণ খুঁজছে ডেইলি বাংলাদেশ টাইম। পরবর্তীতে খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত উজিরপুর থানার পুলিশ ও স্থানীয় নেতাকর্মী। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ আনার চেস্টা করলে পুলিশের উপর চড়াও হয় শিক্ষার্থীরা, এই চড়াও হওয়ার পেছনে ইন্দনদাতা কে? জানতে ডেইলি বাংলাদেশ টাইম টিম! জানা যায় একজন বখাটে ছাত্রকে বাধা দিলে এবং আটকে রাখলে স্থানীয়সহ স্কুলের সবাই পুলিশদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে এ সকল ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলেন আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সার্কেল এএসপি, ওসি এবং তদন্ত ওসি। এবং যারা এই কান্ড ঘটিয়েছে ভিডিওকৃত আলামতের মাধ্যামে তাদের শনাক্ত করতে পারে পুলিশ। জড়িত প্রায় ৩২ জনের নাম জানা যায়।

তবে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক। পরবর্তীতে জানা যায় স্কুলের জমি যাদের কাছে লিজ দেয়া হয়েছিল তাদের সময় শেষ হলেও যায়গা ছেড়ে জাননি।

এই ব্যাপারে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক ডেইলি বাংলাদেশ টাইম কে বলেন, উক্ত ঘটনার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। কে বা কারা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য প্রভাবিত করে এমন করেছে সেটা আপনাদের মত আমিও জানি না। তবে যাদের লিজ দেয়া হয়েছে তাদের সময় শেষ হলেও জমি ছেড়ে যাননি। আমরা অনেকবার বলার পরেও তারা নানান ফন্দি এঁটেছেন জমি কব্জায় নেবার। পরবর্তীতে আমাদের স্কুলের নামেই মামলা করে সেটি মহামান্য আদালত খারিজ করে দেন। এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার গণ শুনানিতেও তারা ছিলেন না। আমাদের কাছে সব প্রমান আছে এবং সকল ডকুমেন্টস আছে। সময় শেষ হয়েছে তাই এই জমি অন্যজনকে লিজ দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থানে পরিদর্শন করে বলেন, যেহেতু তাদের থাকার জমি নেই আমরা চেস্টা করব আগামী ৬ মাসের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় প্রকল্প থেকে তাদের বাড়ি দেবার। এমন ঘটনা যেন পরবর্তী না ঘটে এই ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *