উজিরপুরে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন
অরণ্য শোয়েব বরিশাল থেকে – বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ৫ নং শোলক ইউনিয়ন এর শোলক গ্রাম। অত্র অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন গ্রাম এটি। স্কুল মাদ্রাসা মসজিদ মন্দির দৃশ্যমান রয়েছে। তবে অন্যসব গ্রামের মত ওতটাও উন্নয়ন হয়নি এই গ্রাম। এই গ্রামে বাজারে অবস্থিত আছে ১২৫ বছরের পুরাতন স্কুল শোলক ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
সম্প্রতি স্কুল প্রাঙ্গণে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন করেন শোলক ভিক্টোরিয়ান সাবেক ও বর্তমান গ্রুপের ফাউন্ডার ও এ্যাডমিন উজ্জ্বল দাস। তিনি ডেইলি বাংলাদেশ টাইম কে বলেন, আমাদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৪ আজকে শুরু করা হলো প্রথম ধাপ। আমাদের অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে ১ মে ২০২৪ থেকে ৩০ জুলাই ২০২৪। বৃক্ষরোপন শুরু হয়েছে ৫ জুন ২০২৪ থেকে ৩০ জুলাই ২০২৪ প্রায় ২ মাসব্যাপী। যার যা খুশি অর্থ প্রদান করার অপশন রয়েছে। ও বিকাশ নগদ এ দিতে পারবেন।যার যা সামর্থ অনুযায়ী অথবা কেউ ৫/১০/১৫/২০/২৫/৩০/৫০ টা গাছের চারা দিয়ে এগিয়ে আসতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা অক্সিজেন পাই গাছ থেকে, সেই গাছের সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে। পৃথিবী মানুষ দ্বারা ক্রমাগত দূষিত হচ্ছে। ব্যাপক হারে বাড়ছে বৃক্ষ নিধন। পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের ভারসাময় রক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্বনডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয় এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখে। কিন্তু প্রতিনিয়ত বৃক্ষনিধন হচ্ছে। একটি গাছ কাটার পরিবর্তে আরেকটি গাছ লাগানোর চর্চাটাও আমাদের মধ্যে নেই।আমরা যখন পরিবেশের সঙ্গে অন্যায় করছি, তখন পরিবেশ যে আমাদেরকে ছাড় দিবে তা কিন্তু নয়। এর প্রভাবটা আমাদের উপরই আসবে। যে কারণে বেড়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা। গাছপালা কমে গেলে বৃষ্টিপাত কম হয়। অর্থাৎ পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য বৃক্ষরোপন অপরিহার্য। আমরা বৃক্ষরোপনের অভ্যাস রপ্ত করতে পারি শিশুকাল থেকেই। গ্রামে, বাড়ির উঠানে কিংবা আশেপাশে অনেক স্থানে গাছ লাগানো যায়। গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হয়ত পৃথিবীকে বদলে দিতে বড় ভূমিকা পালন করবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পুরো বিশ্বই চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্ব নেতাদের নিয়ে জাতিসংঘে নিয়মিত সম্মেলন হচ্ছে এটা নিয়ে। আমার মনে হয় গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে দিতে পারি তার আপন রুপ।
গ্রুপের ফাউন্ডার এ্যাডমিন উজ্জ্বল দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষক আবদুর রব মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শোলক কৃষি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা, এলাকার মুরুব্বী ও সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।