বিমান দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে আছে বলে মনে হচ্ছে না : পুলিশ কমিশনার
ভারতের গুজরাট রাজ্যের রাজধানী আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার ২৪০ জনেরও বেশি আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশের কমিশনার জি এস মালিক অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘বিমান দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে আছে বলে মনে হচ্ছে না।’
নিহতের সঠিক সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হচ্ছে জানিয়ে কমিশনার আরো বলেন, বিমানটি আবাসিক এলাকার একাংশে বিধ্বস্ত হওয়ায় ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও কেউ কেউ নিহত হয়ে থাকতে পারে’। সেখানে কিছু অফিস রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরো অনেকে ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে আছে।
ফ্লাইটটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই মধ্যাহ্নে বিধ্বস্ত হয়। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিমানটির গন্তব্য ছিল ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের দক্ষিণে অবস্থিত গ্যাটউইক বিমানবন্দর।
একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, যে ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি চিকিৎসকদের হোস্টেল।তারা ইতিমধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা পরিষ্কার করেছে। বাকি অংশও দ্রুত পরিষ্কার করা হবে।
ভারতের সিএনএন নিউজ-১৮ টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, বিমানটি রাজ্য পরিচালিত বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ডাইনিং এরিয়ার ওপর বিধ্বস্ত হয়, যেখানে বেশ কয়েকজন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। চ্যানেলটি একটি ভিডিও দেখিয়েছে, যেখানে বিমানটির একটি অংশকে ভবনের ওপর আটকে থাকতে দেখা যায়।
একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ২১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক, ১১টি শিশু ও দুটি নবজাতক ছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার তথ্য মতে, যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডীয়।
বিমান ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার২৪ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, যা এখন পর্যন্ত অন্যতম আধুনিক যাত্রীবাহী বিমান। এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার পর এটি ড্রিমলাইনারের প্রথম দুর্ঘটনা।