আইন ও আদালত

ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

Share this:

কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই পরোয়ানা জারি করেন।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে হওয়া ধর্ষণ মামলায় আজ দুজন সাক্ষীর আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। সাক্ষীরা এ জন্য আদালতে এসেছিলেন। তবে আসামি মামুনুল হক না আসায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এর আগে ৪ এপ্রিল কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নার দায়ের করা মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালত মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেন। গত ৩ মে জামিনে কারামুক্ত হন তিনি।

আদালতে হাজির না হওয়ার বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, মামুনুল হক কয়েক দিন যাবৎ অসুস্থ। চিকিৎসক তাঁকে ‘বেড রেস্টে’ থাকতে বলেছেন। চিকিৎসকের কাগজপত্রসহ বিষয়টি অবগত করে সময় প্রার্থনা করা হলেও আদালত নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আদালতে হাজির না হওয়ায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি রুমে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরাসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত নেতা–কর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা সেখানে হামলা চালিয়ে তাঁদের ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। রয়েল রিসোর্ট–কাণ্ডের ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে জান্নাত আরা ঝরনা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *