বরিশাল বিভাগ

উজিরপুরে সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে ইউনিয়নবাসী

Share this:

(অরণ্য সোয়েব জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক)- বরিশাল জেলার জনপ্রিয় এক উপজেলার নাম উজিরপুর উপজেলা।এই উপজেলায় রয়েছে সেই বিখ্যাত শাপলার বিল, রয়েছে সাতলার ডাকবাংলা, ঘন্টেশ্বর ছবিখার পুল, তারাবাড়ী তারামন্দীর, শিকারপুর সেতু, জল্লার টাকাবাড়ীর বিল, গুঠিয়ার মসজিদ কমপ্লেক্স অন্যতম পর্যটন স্থান। এত মনোরম স্থান থাকার পরেও রয়েছে ভোগান্তি নিশ্বাস। সেটি হচ্ছে সড়ক। উপজেলার ২৪৯.৩২ বর্গ কিলোমিটার আয়তন ১২৫ টি গ্রাম ও ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে উজিরপুর উপজেলা গঠিত। ১নং সাতলা, ২নং হারতা, ৩নং জল্লা, ৪নং ওটরা, ৫নং শোলক, ৬নং বরাকোঠা, ৭নং বামরাইল, ৮নং শিকারপুর উজিরপুর, ৯নং গুঠিয়া। এরমধ্যে অধিকাংশ ইউনিয়ন এর ওয়ার্ডের সড়কের বেহাল দশা, যেন দেখার কেউ নেই। তারমধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় অবস্থান রয়েছে শোলক ইউনিয়ন এর শোলক গ্রামের সড়ক ও আশেপাশের কিছু সড়ক। স্থানীয়দের অভিযোগ আছে যে তিন উপজেলার মুখ জড়িয়ে আছে এই গ্রামের সাথে।

সরজমিনে যা দেখা গেলো, উজিরপুরের ধামুরা, এবং আগৈলঝাড়ার রত্নপুর, ও উজিরপুরের শোলক, এবং গৌরনদীর লক্ষ্মণকাঠী বাটাজোর মোট রাস্তা দৈর্ঘ্য ৭.৫ কিলোমিটার। তবে গৌরনদীর বাটাজোর লক্ষ্মনকাঠী অংশের ৩.৫ কিলোমিটার পিচ ঢালাই। ৪.৫ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা বেহাল দশা।

স্থানীয় এক কৃষক উজ্জল দাস তিনি ডেইলি বাংলাদেশ টাইম কে বলেন, মানতে কষ্ট হয় মেনে নিতে পারি না এই রাস্তা টা মাত্র ৪.৫ কিলোমিটার। যা ৩০০ বছরের অধিক পুরানো অর্থাৎ প্রাচীন জনপথ। এই রাস্তাটি তিনটি উপজেলা উজিরপুর, আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী কে সংযোগ স্থাপনকারী। তবে, উজিরপুরের ধামুরা, আগৈলঝাড়া র রত্নপুর, উজিরপুরের শোলক, গৌরনদীর লক্ষ্মণকাঠী+ বাটাজোর মোট রাস্তা দৈঘ্য ৭.৫ কিলোমিটার। তবে গৌরনদীর বাটাজোর+ লক্ষ্মনকাঠী অংশের ৩.৫ কিলোমিটার পিচ ঢালাই।কিন্তু ১৯৭১ টু ২০০৬ সাল পর্যন্ত সব শাসন আমল বাদ দিলাম। আওয়ামীলীগে র এই ১৫ বছরে ও কেন এরকম????? ২০০৮-২০১৪ মনিরুল ইসলাম মনির সংসদ সদস্য ছিলেন, ২০১৪-২০১৮ অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস সংসদ সদস্য ছিলেন, বর্তমানে শাহ আলম ভাই সংসদ সদস্য।উজিরপুর বানারীপাড়া বাসির কাছে প্রশ্ন কি অন্যায় এই জনপদের মানুষের? কেন তাদের প্রতি এই অবিচার?তাহলে গ্রাম কিভাবে শহর হলো। মাত্র ৪.৫ কিলোমিটার রাস্তা,,,,যেই রাস্তা তিনটি উপজেলাকে সংযোগ করে এর চেয়ে গুরুত্ববহন করে এমন জনপথ আর কি হতে পারে?

স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির বলেন, বিষয়টি খুবই খারাপ লাগে, এর আগেও আমি একাধিক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বলেছি। এমনি তদারকি করেছি কিন্তু কোনো সুরহা হয়নি, দীর্ঘ ৫০ বছরে উন্নয়ন ঘটেনি আমাদের এই গ্রামে। রাস্তাগুলো মেরামত করা এখন সময়ের দাবি। এখানে স্কুল মাদ্রাসা মসজিদ মন্দির রয়েছে অনেক। কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে যেতে হয় অনেক এর অনেক জায়গায়, সে সময় চলার পথে এমন রাস্তা পাড় হয়ে যাওয়াটা কষ্টসাধ্য। এই সড়কগুলোর মেরামত কাজ অতি দ্রুতই করা হোক। এদিকে সদয় দৃস্টি হোক মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সবার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওয়ার্ড নেতা জানান, আমাদের ইউনিয়নে অনেক বড়বড় নেতা রয়েছেন তবে এখানে বলার মতন নেতা খুব কম আছেন। তারা চাইলেই পারে বিষয়টি নিয়ে এমপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে সড়কসহ অন্যান্য সমস্যাগুলোর সমাধান করতে। কিন্তু কি কারণে যে সব হয়েও হয়না এটা বোঝে আসেনা আমার। তাই এই রাস্তা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনো মতবাদ নেই। তবে উন্নয়ন ধারাটা যেন কোনো কেউ একজনের হাত ধরে শুরু হোক এটাই চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *