লাদাখ সীমান্তে চীনের সংঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় ২০ সেনা নিহত
লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ জুন) রাতে হিমালয় পর্বতের পশ্চিমাংশে লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় এ ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে দেশটির একাধিক গণমাধ্যম এসব তথ্য জানিয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভারতের পক্ষ থেকে প্রথমে তিন সেনা নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়।
ভারতীয় সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সোমবার রাতে সংঘর্ষে আরও ১৭ জন গুরুতর ভাবে জখম হয়েছিলেন। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অত উঁচুতে, খোলা আকাশের নীচে আহত অবস্থায় দীর্ঘ ক্ষণ থাকার ফলে তাদের মৃত্যু হয়।
লাদাখে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত ও চীনের সামরিক বাহিনী পরস্পর মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আছে। এর আগে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হলেও রক্তপাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কয়েক দশক পর পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এমন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতকে একতরফা কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে ঝামেলা আর না বাড়াতে বলেছে। চীনের দাবি, ভারতীয় সেনারাই প্রথম হামলা চালিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৫ জুন ভারতীয় পক্ষ দুবার সীমান্ত লঙ্ঘন করে উস্কানি দিয়েছে এবং চীনা সেনাদের আক্রমণ করেছে। এ থেকেই দুই সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়।’
ওদিকে, চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’ বলছে, চীনা বাহিনীতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদিও চীনা সেনা নিহত না আহত হয়েছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি তারা।
ভারতীয় কয়েকটি সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, ভারতীয় সেনাদেরকে ‘পিটিয়ে মারা’ হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।
চীনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ঝ্যাং সুইলি ভারতীয় পক্ষকে তাদের সীমান্তের সেনাদেরকে কড়াভাবে সংযত রাখতে বলেছেন এবং সমস্যা সমাধানে আলোচনার সঠিক পথে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন। ভারতকে নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন এবং কোনোরকম উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে বলে তিনি দাবি জানান।