দীর্ঘদিন কলকাতায় আটকে থেকে ঢাকায় ফিরলেন তারা
করোনাভাইরাস ঠেকাতে দেশে দেশে বন্ধ হয়েছিলো ফ্লাইট। লকডাউনের কারণে অনেকেই বিদেশে গিয়ে আটকা পড়েছিলেন।তেমনই কলকাতায় গিয়ে বেশ ক’জন কলাকুশলীসহ আটকে ছিলেন উপস্থাপক ও অভিনেতা ইমতু রাতিশ।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতার একটি হোটেলে চিত্রনায়ক শিপন মিত্র, সাঞ্জু জন, নতুন অভিনেত্রী বন্যি, রাইসাসহ মেকাপম্যান, ক্যামেরাম্যান ও অনেকেই আটকে ছিলেন। অবশেষে ৪ মাস পর গতকাল (১৬ জুন) দেশে ফিরেছেন তারা।
সাঞ্জু জন বলেন,এতদিন আসতে পারিনি করোনা প্রভাবের জন্য খুব কষ্ট করে আসতে হয়েছে।তবে খুব ভালো লাগছে ঢাকার আবহাওয়া শরীরে লাগার পরে।পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হোক তারপর কাজে নামবো
ইমতু জানান, পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে সীমান্তে আসেন তারা। এরপর বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
জানা গেছে, চলচ্চিত্র পরিচালক ইফতেখার চৌধুরীর একটি ভুতের সিনেমার শুটিংয়ের জন্য আইসল্যান্ড যাবার কথা ছিলো তাদের। তার ভিসার জন্য এই অভিনয় শিল্পীরা কলকাতায় যান ১৬ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যেই সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করে করোনা। এদিকে কাজ শেষ করে উঠতে না পারায় দেশে ফিরতে পেরেছিলেন না তারা।
ইমতু রাতিশ বলেন, ‘আমাদের দলের বেশিরভাগই পাসপোর্ট ফেরত পেয়েছিলেন। শুধু আমাদের কয়েকজনের যেদিন পাসপোর্ট দেওয়ার কথা, সেদিনই ভারতে জনতা কারফিউ শুরু হয়। প্রতিদিনই ভেবেছি, এই বোধহয় পাসপোর্ট পেয়ে যাব। এভাবেই অনেকগুলো দিন কেটে গেল।
অবশেষে গত শুক্রবার আমরা পাসপোর্ট হাতে পাই। আমি, জন, শিপন ও চ্যানেল আই ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম প্রতিযোগিতার তন্ময় একসঙ্গে দেশে ফিরেছি। অবশেষে ঢাকার বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরে ভালো লাগছে।’