উজিরপুরে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেস্টা
(সিনিয়র রিপোর্টার – সোয়েব সিকদার, অরণ্য)- দেশে যেন ধর্ষণের মহোৎসব চলছে, প্রতিদিন পত্রিকা কিংবা যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঠিক এমনি নিউজ প্রকাশ হচ্ছে। কয়েকদিন আগে মাগুরায় শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ করা হয়, এরপরে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় রেখেও তাকে বাঁচানো যায়নি। শিশু আছিয়ার রেশ কাটতে না কাটতে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়ন এর শোলক গ্রামে ৩ দিন আগে ফাতেমা সুলতানা (৭) এক শিশুকে পানের বরজের ভিতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেস্টা করেন একই গ্রামের মৃত মজিদ তালুকদারের ছেলে রবিউল তালুকদার (৪০)। ধর্ষণের জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপির কিছু অসাধু নেতাকর্মী বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগে। পাশাপাশি জড়িত আছেন কতিপয় হলুদ সাংবাদিক।
স্থানীয় বরাতে জানা যায়, রবিউল তালুকদার লিমিট ছাড়া লম্পট। এর আগে নারী নির্যাতনের ঘটনা তিনি ঘটান প্রায় চার বার এমন কাজে লিপ্ত ছিলেন। তখন স্থানীয় মাতুব্বররা সেটি মিমাংসা করেছেন। কিন্তু এবার শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ এর মত নিকৃস্ট কাজ করেছেন।
এই ঘটনায় মামলা হয়েছে উজিরপুর থানায়। মামলার বাদী শিশু ফাতেমা সুলতানার মা মোসা: মরিয়ম আক্তার। ভিকটিম এর বাবা মামুন বেপারী ডেইলি বাংলাদেশ টাইম কে বলেন, আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলো, সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। নারী ও শিশুর নিরাপদ খুব বেশী দরকার। আজ আমার মেয়ের সাথে এমন হয়েছে কাল অন্য কারোর সাথেও হতে পারে। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি, আইন আমাকে পথ দেখাবে। আমি আইনের কাছে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী রাখছি। যেন এই নিকৃস্ট কাজ দ্বিতীয়বার সাহস না রাখে। এবং তিনি আরো বলেন, পাপের প্রায়শ্চিত্ত এই দুনিয়ায় দিতে হবে। এবং ওর সাহায্য কারীরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এই বিষয়ে উজিরপুর থানায় বিস্তারিত জানতে
ফোনে যোগাযোগ করলে ওসি এবং ওসি তদন্ত তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
তবে থানাসূত্রে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে যার নম্বর ১৪।