থাইল্যান্ড উইকে প্রশংসিত বুলবুল টুম্পা
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে গত ১০, ১১, ১২ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘থাইল্যান্ড উইক- ২০২৫’। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিত্র। প্রতিবছর এই আয়োজনটি করে আসছে বাংলাদেশে অবস্থান করা রয়েল থাই এম্বাসি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক আরো নিবিড় হয়।
বরাবরের মতন এবারও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এক্সিবিশন করা হয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম ছিল ফ্যাশন এক্সিবিশন। আর এই ফ্যাশন এক্সিবিশনে মডেলদের নির্দেশক ছিলেন সময়ের জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা।

অনুষ্ঠান সম্পর্কে বুলবুল টুম্পা দ্য ডেইলি বাংলাদেশ টাইম কে বলেন, তিন দিন ধরে অনুষ্ঠানটি চলছে এরমধ্যে দুদিন ছিল ফ্যাশন নিয়ে এক্সিবিশন। টানা কয়েক বছর ধরে আমি এটিতে কাজ করছি। ভিশন ভালো লাগে। ফ্রিডমলি কাজ করা যায়। থাই এম্বাসি নিজের মতন করে কাজ করার স্বাধীনতা করে দেয় দেখানে। সবচেয়ে বড় কথা থাই এম্বাসি আমাকে অনেক সম্মানিত করেছেন এখানে। বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত অনেক ভালো একজন মানুষ। তিনি যে সম্মান দেখিয়েছেন এটা অনেক বড় পাওয়া। কাজটি করে ভালো লেগেছে আমার। ছেলে মেয়েরা খুবই কস্ট করেছেন, চেস্টা করেছেন ভালো একটি ফ্যাশন শো করার। আর যারা নতুন ছেলে মেয়ে কাজ করেছেন মডেল হিসেবে ওরাও খুশি কেননা বড় অনুষ্ঠানে কাজ করতে পেরেছেন।

থাই ফ্যাশন উইক এর প্রধান কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা এর পাশাপাশি সহকারী কোরিওগ্রাফার হিসেবে ছিলেন, স্বাধীন ইসলাম রনি ও সোহা ইসলাম। এবং ডিজাইনার ছিলেন জাদু, ফাতেমা তাইয়্যেবাহ সহ অনেকেই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এর শোবিজ এবং মডেলিং জগতের আকাশে বুলবুল টুম্পা একটি তাঁরার নাম। দীর্ঘ ২৭ বছর শোবিজ ক্যারিয়ারে কবে যে নিজেই একটি ব্রান্ডের ইন্সটিটিউট হয়েছেন হয়তো তার খোঁজ রাখেননি। বুলবুল টুম্পাকে বলা বাংলাদেশের ফ্যাশন জগতে ‘কুইন অফ ফ্যাশন ‘। এই নামেই তার অধিক খ্যাতি ও পরিচিতি।
তার সময় সাময়িক অনেকে হারিয়ে গেছেন কিন্তু তিনি থেকে গেছেন ‘কুইন অফ ফ্যাশন’ হিসেবেই। তার হাত ধরে আজ মিডিয়া অনেকেই প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার গড়েছেন। ১৯৯৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই মডেলিং শুরু করেন। তিনি এখন দেশের নামিদামি মডেলিং কোরিওগ্রাফার মধ্যে একজন। তার হাত ধরে অনেকেই এই অংগনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।এবং তার একটি মডেলিং গ্রুমিং স্কুল রয়েছে।

