বিনোদনসিনেমা

ইতিহাস গড়েছিলেন কবির বকুল

Share this:

চলচ্চিত্রে গান লিখে ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবার অনন্য অর্জন রয়েছে গীতিকবি কবির বকুলের। আসছে ২১ জুলাই বড় পর্দার গীতিকবি হিসেবে তার পথ চলার ৩০ বছর পূর্ণ হবে। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে সিনেমার গানে নিজের অবস্থান ধরে রাখার রেকর্ড খুব কম গীতিকারেরই আছে। এমনিতে ৩৭ বছর ধরে গান লিখছেন তিনি। আধুনিক ও ব্যান্ডের গান লিখেছেন প্রায় দুই হাজার। বড় পর্দার জন্য আটশ’র বেশি সিনেমায় তিন হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। মোট পাঁচ হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন যিনি, তাকে আমরা সবাই ‘কবির বকুল’ নামে চিনলেও বাবা মায়ের রাখা তার পুরো নাম নুরুল কবির খান। এখনো অফিসিয়াল কাগজপত্রে বা পাসপোর্টে সে নামটিই রয়ে গেছে।

চলচ্চিত্রে যেখানে অনেকে ‘খান’ না হয়েও নামের শেষে ‘খান’ যুক্ত করেন, সেখানে নুরুল কবির খান কিভাবে ‘কবির বকুল’ হয়ে গেলেন, সে উত্তরটিই তিনি জানিয়েছেন মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিদিন সকালের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ ঈদ আয়োজনে।

কবির বকুল বলেন, আমার প্রথম গান প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর ‘ময়না’ অ্যালবামে। অ্যলবামের ৪ নম্বর গান ছিল আমার লেখা ‘কাল সারা রাত তোমারই কাকন যেন রিনিঝিনি বেজেছে’। সে সময় গানের গীতিকার হিসেবে শুধু ‘বকুল’ নামটিই ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে আমিও ‘নুরুল কবির খান’ নামটিকে সংক্ষেপ করে ‘কবির বকুল’ হয়ে যাই। ‘রাঙা সকাল’-এ কবির বকুল জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই নানামুখী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। জাতীয় পর্যায়ে বাস্কেটবলও খেলেছেন। অডিও অ্যালবামেই তার সাফল্যের শুরু। সে সময় পৃথিবীর মত হৃদয়টাকে, কেন এই নিঃসঙ্গতা, ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর, চন্দ্রিমা রাত্রিতে কিংশুক সৌরভে সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান লিখেছেন তিনি। এর মধ্যে ’৯০ দশকের শুরুতে ‘চাইম’ ব্যান্ডের জন্য লেখা ‘কালো মাইয়া কালো বইলা’ গানটি ছিল অন্যরকম এক ইতিহাস। প্রয়াত শিল্পী খালিদ গানটি গেয়েছিলেন। যে গানটি আজো শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। আর এই গানটি ঘটনাক্রমে কবির বকুল লিখেছিলেন চানাচুরের ঠোঙায়। কবির বকুল বলেন, গান লিখে আমি প্রথম সম্মানী পেয়েছিলাম ২০০ টাকা। যদিও সেই সম্মানী উদ্ধারের জন্য প্রায় সম পরিমাণ রিকশা ভাড়া খরচ হয়েছিল। রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ এই পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের তৃতীয় দিন সকাল ৭টা থেকে ৯টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *