লাইফস্টাইল

শাপলা ও কলি খাবার উপকারিতা

Share this:

শাপলা। বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। এটি কিন্তু বেশ প্রাচীন। জানলে অবাক হবেন প্রায় ১৬ কোটি বছর আগেও পৃথিবীতে শাপলার অস্তিত্ব ছিল। প্রাচীন মিসরে সাদা ও নীল শাপলার আদি অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ বানাতেও এর ব্যবহার রয়েছে। 

বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র, খাল, বিল, পুকুর ও ডোবায় শাপলা পাওয়া যায়। অনেকের এর ডাটা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেন। একসময় কেবল গ্রামাঞ্চলে শাপলা খাওয়ার চল থাকলেও বর্তমানে শহরেও এর কদর বেড়েছে। শাপলা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর পুষ্টিগুণ অনেক।

সাধারণ অনেক শাকসবজির চেয়ে শাপলার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। শাপলায় আলুর চেয়ে সাত গুণ বেশি ক্যালশিয়াম রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম শাপলার লতা বা ডাটায় রয়েছে খনিজ পদার্থ ১ দশমিক ৩ গ্রাম, আঁশ ১ দশমিক ১ গ্রাম, খাদ্যপ্রাণ ১৪২ কিলো, ক্যালোরি-প্রোটিন, ৩ দশমিক ১ গ্রাম, শর্করা ৩১ দশমিক ৭ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ৭৬ মিলিগ্রাম। 

চর্মরোগ ও রক্ত আমাশয়ের জন্য বেশ উপকারী। লাল শাপলা অ্যালার্জি ও রক্ত আমাশয়ের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এই জলজ উদ্ভিদের অনেক গুণ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারি ভূমিকা রাখে। শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। 

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে শাপলা। আর তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যে এটি অত্যন্ত উপকারী। শরীরকে শীতল রাখতে শাপলার জুড়ি মেলা ভার। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরাও এটি খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। 

শাপলাতে আছে গ্যালিক এসিড এনজাইম। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। শাপলার ফ্লেভনল গস্নাইকোসাইড মাথায় রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে মাথা ঠান্ডা রাখে। এটি হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। পিপাসা দূর করে। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, আমাশয় ও পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে উপকারি ভূমিকা রাখে। 

হৃদরোগের দুর্বলতা কমাতে শাপলা ফুলের উপকারিতা অপরিহার্য। এজন্য পাঁচ গ্রাম গোলাপ ফুল এবং ১০ গ্রাম শাপলা ফুলের সঙ্গে দুই কাপ পানি মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে পরিমাণমতো চিনি মেশান। দিনে দুবার করে নিয়মিত এক মাস খেলে ভালো ফল পাবেন। যকৃতের ক্ষতি প্রতিরোধ করে লিভার নিরাময় করতে সহায়তা করে এই ফুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *